আমন্ত্রণ জানিয়েও তা প্রত্যাহার করার অভিযোগ উঠল ভারত সরকারের বিরুদ্ধে। আর এহেন অভিযোগ আনলেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের লিবারেল ডেমোক্র্যাট সাংসদ ক্রিশ ডেভিয়েস। তাঁর অভিযোগ, স্বাধীন ভাবে তিনি কাশ্মীরে ঘোরার এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার দাবি জানিয়েছিলেন বলেই আমন্ত্রণ ফেরানো হয়েছে। একটি বিবৃতিতে মঙ্গলবার তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কী এমন রয়েছে যা ভারত সরকার গোপন করতে চাইছে?”
ডেভিয়েস জানান, কাশ্মীর যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁকে ৭ অক্টোবর একটি চিঠি দেওয়া হয় এবং তিন দিন পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। তিনি আরও বলেন, “জনসংযোগের চমক দেখাবে মোদী সরকার আর দেখিয়ে দেবে সব ঠিকঠাক চলছে। এমন কোনও ব্যাপারে আমি যোগ দিতে প্রস্তুত নই। এটা একেবারেই স্পষ্ট যে কাশ্মীরে গণতন্ত্রকে অবদমিত করে রাখা হয়েছে, এবার বিশ্বের উচিত এ দিকে নজর দিতে শুরু করা।”
ডেভিয়েস দাবি করেছেন, কোনও রকম নিরাপত্তা ছাড়াই তিনি কাশ্মীরে যেতে চেয়েছিলেন এবং যেকোনও লোকের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। জম্মু-কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরে সেখানে নিরাপত্তা বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এই অবস্থায় উপত্যকার লোকের সঙ্গে কথা বলে নিজস্ব মতামত দিতে চাইছিলেন তিনি।
তিনি প্রশ্ন করেন, “সরকার কী গোপন করতে চাইছে? কেন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সরকার কেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতাদের কথা বলতে দিচ্ছেন না?” তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে বসবাসকারী যে সব কাশ্মীরি তাদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না, তিনি তাঁদের হয়ে কথা বলছেন। তিনি বলেন, “আমি নর্থ ওয়েস্ট ইংল্যান্ডের হাজার হাজার মানুষের প্রতিনিধিত্ব করি যেখানে বহু পরিবারের কাশ্মীরের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা চান স্বাধীন ভাবে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে। তাঁরা পরিবারের মানুষের গলা শুনতে চাইছেন।” উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “যে পরিস্থিতি চলছে তা আদৌ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে আমার আশঙ্কা হচ্ছে। স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে ও সেনাশাসন জারি করে সরকার তাঁদের হৃদয় জয় করতে পারেনি। তাই প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা রয়েছে এবং তা দেখাও যাচ্ছে।”