আসন্ন ভারত সফর নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে বেশ কিছুদিন ধরে টালমাটাল চলছে। বোর্ডের সঙ্গে সংঘাতের জেরে ভারত সফর নিয়ে বেঁকে বসেছেন দেশের বেশকিছু খেলোয়াড়। আর এইবার সেই নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন স্বয়ং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। ভারত সফর বানচাল করার জন্য চক্রান্তের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের ১১ দফা দাবিতে ধর্মঘটে সামিল হওয়াকে এরই অঙ্গ বলে বর্ণনা করেছেন পাপন। রীতিমতো ডামাডোলের মধ্যে সোমবার ভারত সফরের প্রস্তুতি শিবিরে যোগ দিয়েছে টাইগার ব্রিগেড। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ হল, এদিন শিবিরে আসেননি সাকিব। আর তাতেই তাঁর ভারতে না আসার জল্পনা আরও জোরাল হয়েছে।
ভারত সফরের আগেই বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটে। ক্রিকেটারদের কয়েক দফা দাবি মেনে নেওয়ার পরে শর্তসাপেক্ষে ক্রিকেটে ফিরতে রাজি হয়েছেন শাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিমরা। তবে সমস্যা এখনও পুরোপুরি মেটেনি বলেই জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি পাপন। বাংলাদেশের প্রথমসারির একটি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভারত সফর নিয়ে নাটকের এখনও অনেক পর্ব বাকি। অপেক্ষা করুন, সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। আমি শুধু এইটুকু বলতে পারি যে, ভারত সফর নিয়ে অন্তর্ঘাতের নির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। আপনারা আমাকে এত বছর ধরে চেনেন। কখনও ভুল বা মিথ্যা কথা বলেছি? আজ আমি যদি এ রকম কথা বলে থাকি, তাহলে বুঝবেন নিশ্চয়ই এর মধ্যে কিছু একটা রয়েছে। আমার কাছে তথ্য ছিল যে ভারত সিরিজ বানচাল হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তামিম আমাকে প্রথমে বলেছিল পারিবারিক কারণে ভারতের বিরুদ্ধে ও শেষ টেস্টটা খেলতে চাইছে না। কিন্তু খেলোয়াড়দের সঙ্গে বৈঠক শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তামিম আমার রুমে গিয়ে বলল, আমি ভারত সফরে একেবারেই যেতে পারব না। এখন সফরের প্রাক্কালে যদি শুনি আরও কেউ এভাবে সরে দাঁড়াচ্ছে, তাহলে মানেটা ঠিক কী দাঁড়ায়? এমনটা ঘটলে তখন পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে দাঁড়াবে। আমি সাকিবকেও এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ডেকেছি। এখন সেও যদি নিজেকে সরিয়ে নেয়, তা হলে আমি অধিনায়ক কোথায় পাব? এক্ষেত্রে আমাকে হয়ত দলের পুরো কম্বিনেশনটাই বদলে ফেলতে হবে।’
সিনিয়র ক্রিকেটাররা যে ভাবে বোর্ডের সঙ্গে দর কষাকষির খেলায় নেমেছেন, সেটাও মানতে পারছেন না পাপন। ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের সামনে বিসিবি আরও কড়া হতে পারত, এমনটাও মনে করছেন তিনি।