হরিয়ানায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। মহারাষ্ট্রে শিবসেনার ধাক্কায় সরকার গড়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি–র ভোটের শতকরা হার যেমন কমেছে, দলের প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধানও কমেছে। যা চিন্তা বাড়িয়েছে বিজেপি শিবিরের। এমন পরিস্থিতি দলের ফল নিয়ে ময়নাতদন্তে নামছে বিজেপি। রাজ্য নেতাদের কাছে ব্যাখ্যা তলব করতে চলেছেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।
বিজেপি-র শক্ত ঘাঁটি উত্তরপ্রদেশ। ২০১৭ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকার তৈরি হয়। সদ্য বিধানসভার ১১ আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। সেখানে বিজেপি ৭, সমাজবাদী পার্টি ৩ এবং আপনা দল একটি আসনে জিতেছে। গঙ্গোহ বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির কিরাট সিং পেয়েছেন ৬৮,৩০০ ভোট (৩০ শতাংশ)। ২০১৭য় বিজেপি প্রার্থী ৯৯, ৪৪৬ ভোট পেয়েছিলেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের প্রার্থীকে ৩৮ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন। এবার বিজেপি প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান মাত্র ৫,৪১৯ ভোট। আর তৃতীয় স্থানে থাকা বসপা পেয়েছে ৩২,২৭৬। অর্থাৎ সপা–বসপা জোট হলে ফলাফল অন্যরকম হতে পারত।
উত্তরপ্রদেশের ঘোসি বিধানসভা উপনির্বাচনে মাত্র ১,৭৭৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন বিজেপির বিজয়কুমার রাজভর। গতবার বিজেপির ফগু চৌহান ৭ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন। ফগু পেয়েছিলেন ৮৮, ২৯৮। এবার বিজেপি পেয়েছে ৬৮,৩৭১ ভোট। এবার সেখানে নির্দল প্রার্থী সুধাকর সিং ৬৬,৫৯৮ ভোট পেয়েছেন। তিনি সপা নেতা। বসপা প্রার্থী পেয়েছেন ৫০, ৭৭৫ ভোট। ত্রিমুখী লড়াইয়ে বিজেপি জয়ী হয়েছে। বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হলে গেরুয়া শিবির যে ধরাশায়ী হত, তা স্পষ্ট হয়েছে ওই উপনির্বাচনের ফলাফলেও।
মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া বিধানসভার উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে ২৭, ৮০৪ ভোটে পরাজিত বিজেপি প্রার্থী। অথচ বছরখানেক আগে হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনটি বিজেপি দখল করেছিল। গুজরাট বিজেপি–র গড়। সেখানেও ধাক্কা খেয়েছে দল। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের রাজ্যে ৬ আসনের ৩টিতে জয়ী হয়েছে। সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে বিধায়ক অল্পেশ ঠাকোর যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি–তে। সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ আর এক বিধায়ক ধবলসিন ঝালা। রাধানপুর বিধানসভা আসনে অল্পেশ ও বায়াগ আসনে ধবলসিন হেরেছেন। আমরাওয়াডি আসনে ৫ হাজার ভোটে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হন।