শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছিল লড়াই। তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লিতে গর্তে পড়ে যাওয়া দু’বছরের সুজিত উইলসনকে বাঁচানোর অনেক চেষ্টা করেছিল উদ্ধারকারী দল। কিন্তু সোমবার রাত থেকেই আশার আলো কমতে থাকে। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার করা হল সুজিতের মৃতদেহ।
সুড়ঙ্গে পড়ে গিয়ে মাটি থেকে ৯০ ফুট গভীরে আটকে ছিল সুজিত। গত কয়েক দিন ধরে বাঁচার লড়াই চালাচ্ছিল সে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাকে হার মানতে হয়েছে। তার কাছে পৌঁছতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছিল উদ্ধারকারী দল। সমান্তরাল ভাবে সুড়ঙ্গও খুঁড়েছিলেন তারা। তবে পাথুরে জমি হওয়ায় তাতে সময়ও লাগে অনেকটা। দীর্ঘ চেষ্টার পর অবশেষে, মঙ্গলবার ভোরবেলা তার কাছে পৌঁছনো যায়। কিন্তু, রবিবার রাত থেকেই আর সাড়া মিলছিল না সুজিতের। ফলে, আশঙ্কার মেঘও ক্রমশ জমছিল। শেষ পর্যন্ত তা-ই সত্যি হল। উদ্ধারকারী দল তার কাছে পৌঁছলেও, ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গিয়েছে। তামিলনাড়ু সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজিতের দেহে পচন ধরেছিল। আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথমে সুজিত ২৬ ফুট নীচে আটকে গিয়েছিল। সেই সময় তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। হাতে দড়ির ফাঁস জড়িয়ে বাচ্চাটিকে উপরে তুলে আনার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সেই সময় আচমকাই স্লিপ করে কূপের অনেকটা গভীরে পড়ে যায় বাচ্চাটি। অনুমান, প্রায় ৯০ ফুট গভীরে আটকে যায় ছোট্ট সুজিত।
সোমবার বিকেলে তামিলনাড়ুর রিলিফ কমিশনার জানান, শিশুটি যাতে আরও গভীরে না পড়ে যায় আপাতত সে দিকেই নজর রাখা হচ্ছে। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা আশ্বাস দিয়েছিলেন, হয়তো ১২ ঘণ্টার মধ্যেই বাচ্চাটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কিন্তু তা হল না। উদ্ধার করার আগেই মারা গেল সুজিত।
তবে সমান্তরাল সুড়ঙ্গ দিয়ে সুজিতের কাছে পৌঁছনোর আগেই তার মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যান উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। তামিলনাড়ুর ত্রাণ কমিশনার জে রাধাকৃষ্ণন বলেন, ‘‘২ বছরের ওই শিশুর দেহে পচন ধরেছে। আমরা তাকে উদ্ধারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, যে সুড়ঙ্গে সে পড়ে গিয়েছিল সেখান থেকে পচা গন্ধ বেরোতে থাকে। তার পর আমরা খোঁড়া বন্ধ করে দিয়েছি।’’