এঁরা ভবিষ্যতের ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম প্রধান মুখ। টি-২০ তে ভারতের আক্রমণের মুখও ছিলেন কেউ। কিন্তু পরিস্থিতি দ্রুত বদলেছে। শেষ কয়েকটি টি-২০ তে অত্যন্ত খারাপ পারফরম্যান্স এই তিন জনকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে অনেকেরই মনে। তাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আসন্ন টি-২০ সিরিজে বেশ চাপে থাকছেন ভারতের এই তিন ক্রিকেটার। কারা এই ত্রয়ী? দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে কয়েক মাস আগে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬৫ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন দিল্লীর উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থ কিন্তু তারপর ওয়ানডে সিরিজে একের পর এক বাজে শটে আউট হন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও তা ঘটেছিল। তবে বয়স কম পন্থের। দ্রুত পরিণত হবেন, আশায় ক্রিকেটমহল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ঋদ্ধিমান সাহা নিজেকে পাঁচদিনের ফরম্যাটে এক নম্বর কিপার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। টি-টোয়েন্টি দলে স্যামসনের অন্তর্ভুক্তিও নিশ্চিত ভাবে চাপে রাখছে তাঁকে। এখনও পর্যন্ত ১২ ওয়ানডে ও ২০ টি টি-২০ খেলেছেন ঋষভ। এইমুহূর্তে পন্থকে চিহ্নিত করা হচ্ছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে। তাঁর প্রতিভা নিয়ে কারও সংশয় নেই। সমস্যা রয়েছে তাঁর শট নির্বাচনে, চাপের মুখে উল্টোপাল্টা শট খেলে উইকেট বিপক্ষকে উপহার দিয়ে আসায়। তবে জাতীয় নির্বাচকরা থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই আস্থা রেখেছেন তাঁর উপরে।
অপরজন মণীশ পাণ্ডে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি জাতীয় দলে আসছেন আর বাদ পড়ছেন। এখনও নিজের জায়গা পাকা করতে পারেননি তিনি। তা সে একদিনের ফরম্যাটেই হোক বা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট। বয়স এখনই ৩০। সময় দ্রুত কমে আসছে মণীশের। অথচ, অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর। আইপিএলে দারুণ সফল মণীশ। কিন্তু ৩১ টি টি-২০ আন্তর্জাতিকে তার প্রতিফলন পড়েনি। ৩৭.৬৬ গড়ে করেছেন ৫৬৫ রান। এই ফরম্যাটে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে অভিষেক হয়েছিল তাঁর। হালফিলে শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটিং তাঁর উপর চাপ বাড়াচ্ছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ বার এই ফরম্যাটে দেশের হয়ে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন। ভারতের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। তিন ম্যাচে করেন ১৯, ৬ ও অপরাজিত ২। তারপর আর খেলার সুযোগ পাননি দেশের হয়ে।
শেষজন লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চহাল। গত মরশুম পর্যন্ত ২০ ওভারের ফরম্যাটে তিনিই ছিলেন দলের আক্রমণের অন্যতম প্রধান অস্ত্র। কিন্তু সেই জায়গা এখন আর নেই। ওই জায়গায় অফস্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দর, লেগস্পিনার রাহুল চহাররা উঠে এসেছেন। ফলে, প্রথম এগারোয় চহালের জায়গা আর নিশ্চিত নয়। এখনও পর্যন্ত ৩১ টি টি-২০ খেলেছেন চহাল। তাতে ২১.১৩ গড়ে নিয়েছেন ৪৬ উইকেট। তবে হালফিল তিনি আগের মতো ভরসা দিতে পারছেন না। শেষ চার টি-টোয়েন্টিতে মাত্র দুই উইকেট নিয়েছেন লেগস্পিনার। শেষ চার ম্যাচে দিয়েছেন যথাক্রমে ৩৫, ৩৭, ২৮, ৪৭ রান। ভারতের শেষ দুই টি-২০ সিরিজের দলে ছিলেন না চহাল। ভারতীয় দল অন্য স্পিনারদের দেখে নেওয়ায় নজর দিয়েছিল। চহাল ফিরলেও তাঁর উপর আগের মতো আস্থা দলের রয়েছে কি না, সেই নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।