পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। নেওয়া হয়ে গিয়েছিল মানসিক প্রস্তুতিও। কিন্তু রবিবার দুপুরে চট্টগ্রামের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের সংগঠকরা মোহনবাগানকে জানিয়ে দেয়, সোমবার নয়, মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু এফসির বিরুদ্ধে তাদের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল খেলতে হবে মঙ্গলবার। কেন? তার কোনও নির্দিষ্ট জবাব সংগঠকদের থেকে পাননি মোহনবাগান ম্যানেজার সঞ্জয় ঘোষ।
টুর্নামেন্ট সংগঠকদের পুরোপুরি পরিকাঠামোর অভাব। হঠাৎই তাদের মনে হয়েছে, পরিকাঠামোগত সমস্যার জন্য একই দিনে দুটি হেভিওয়েট সেমি-ফাইনাল ম্যাচ করা সম্ভব নয়। ম্যাচ না হওয়ার খবর মোহন বাগান শিবির জানতে পেরেছে রবিবার দুপুর একটা নাগাদ। তবে এদিন বিকেলে সবুজ-মেরুনের প্র্যাকটিস হয়েছে। রবিবার বাংলাদেশ থেকে টেলিফোনে মোহন বাগানের ম্যানেজার বলছিলেন, ‘স্টেডিয়ামে একটাই স্বল্প পরিসরের ড্রেসিং-রুম রয়েছে। তার মাঝখানে একটা কাঠের পাটাতন দিয়ে পার্টিশন দেওয়া রয়েছে। সেটা ব্যবহার করছে দু’টি দলই। একটা ম্যাচ হওয়ার পর দুই দলের ফুটবলাররা বেরিয়ে গেলে সেখানে অন্য দু’টি দল প্রবেশ করতে পারছে! আমাদের আগের ম্যাচে এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। যদি সোমবার দুটি সেমি-ফাইনালের প্রথমটি টাই-ব্রেকারে গড়াত তাহলে তো ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হত। তার উপর ড্রেসিং-রুমে রয়েছে একটাই টয়লেট। তা ব্যবহার করছে দুই দল! তবে দু’টি ম্যাচ যে একসঙ্গে করা যাবে না সেটা সংগঠকদের আরও আগে ভাবা উচিত ছিল।’ ফাইনালও একদিন পিছিয়ে ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
মোহন বাগান কোচ কিবু ভিকুনা শেখ কামাল কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে স্থির। তিনি আই লিগের প্রস্তুতি হিসেবেই এই টুর্নামেন্টকে দেখছেন। চোটের জন্য দল থেকে ছিটকে গিয়েছেন মোহন বাগানের নাওরেম ও গুরজিন্দর। সোমবার প্রথম সেমি-ফাইনালে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম আবাহনী ও গোকুলাম কেরল এফসি।