“নবীন মন্ত্রে দানিতে দীক্ষা আসিতেছে ফাল্গুনী,
জাগো রে জোয়ান! ঘুমায়ো না ভূয়ো শান্তির বাণী শুনি-
অনেক দধীচি হাড় দিল ভাই,
দানব দৈত্য তবু মরে নাই,
সুতা দিয়ে মোরা স্বাধীনতা চাই, ব’সে ব’সে কাল গুণি!
জাগো রে জোয়ান! বাত ধ’রে গেল মিথ্যার তাঁত বুনি!
দক্ষিণ করে ছিঁড়িয়া শিকল, বাম করে বাণ হানি’
এস নিরস্ত্র বন্দীর দেশে হে যুগ-শস্ত্রপাণি!
পূজা ক’রে শুধু পেয়েছি কদলী,
এইবার তুমি এস মহাবলী।
রথের সুমুখে বসায়ো চক্রী চত্রুধারীরে টানি’,
আর সত্য সেবিয়া দেখিতে পারি না সত্যের প্রাণহানি।”
- ‘সব্যসাচী’, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
২০শে জুলাই, ১৯২৯ সাল। লাহোর বোস্টাল জেল।
আটজন বেশ মোটাসোটা পালোয়ান লোককে সঙ্গে নিয়ে, জেল সুপার, ডাক্তার, জেলের সেলে মধ্যে ঢুকলেন। কিছু বুঝতে না বুঝতেই ওই আটজন লোক, সাতদিন ধরে না খাওয়া দুর্বল মানুষটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।
দু’জন দুটি হাত, দু’জন দুটি পা এবং দু’জন পুরো শরীরটা চেপে ধরল। এছাড়াও একজন মাথা ও অন্যজন চিবুক ধরে জোর করে হাঁ করাল। সেই সুযোগে ডাক্তার একটি সরু নল দিয়ে দুধ ঢালতে শুরু করলেন। আর কোনো উপায় না দেখে ওই মহান মানুষটি তাঁর আমরন অনশনকে বাঁচিয়ে রাখতে ইচ্ছাকৃতভাবে জোরে জোরে কাশতে থাকলেন, এটা ভেবে যে, যদি কোনোভাবে ওই দুধ ভর্তি নলটি খাদ্যনালী থেকে সরে গিয়ে শ্বাসনালীতে চলে যায়, তারফলে কিছুটা দুধ ফুসফুসে চলে গেলে তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, যেমন ভাবা তেমন কাজ, আরও জোরে জোরে কাশতে থাকলেন, ফলে কিছুটা দুধ ফুসফুসে ঢুকেও গেল, এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। ফলে তাঁর আমরন অনশন বজায় থাকল।
৪৮ ঘন্টা ধরে মৃত্যুর সাথে লড়াই করার পর, মানুষটির জ্ঞান ফিরল। চোখ খুলতেই তিনি লক্ষ করলেন –
তাঁকে প্রলুব্ধ করার জন্য তাঁর সেলে নানা ধরনের খাবার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এদিকে নলটি জোরপুর্বক খাদ্যনালী থেকে শ্বাসনালীতে ঢুকে যাওয়ায় তাঁর গলা দিয়ে কোনো আওয়াজ বের হচ্ছে না। তিনি বুঝতে পারলেন সারাজীবন তিনি আর কোনোদিন কথা বলতে পারবেন না।
স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর পাশে রাখা রয়েছে একটি শ্লেট আর পেনসিল। জেল সুপার বললেন,
— আপনার কি খেতে ইচ্ছা করছে ওই শ্লেটে লিখে দিন। আপনার যা ইচ্ছা তাই খেতে পারেন।
যে মানুষটি ছোটোবেলা থেকে খাদ্যরসিক ছিলেন, পকেটে পয়সা থাকলেই বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে খেতে যেতেন, সেই মানুষটিই নয় দিন অভুক্ত থেকেও তাঁর সামনে পড়ে থাকা তাঁর পছন্দের খাবারগুলির দিকে তাকিয়ে শুধু একবার তাচ্ছিল্যের হাসি হেসেছিলেন। কোনো কিছুই মুখে তোলেননি।
জেল সুপার তাঁর ভাইকে নিয়ে এসেছিলেন, তাঁকে কিছু বুঝিয়ে-সুজিয়ে খাওয়ানোর জন্যে। কিন্তু তাঁর অদম্য জেদ, তাঁর ইচ্ছা শক্তি, আর অকৃত্রিম দেশপ্রেমের কাছে সবাই হার মানল। এইভাবেই চলতে থাকল তাঁর আমৃত্যু অনশন।
আস্তে আস্তে তাঁ শরীর সবদিক থেকে ভেঙে পড়ছে, পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন, একটু একটু করে পক্ষাঘাত তাঁর শরীরকে গ্রাস করে ফেলছে। যেদিন ওই পক্ষাঘাত হৃদযন্ত্র স্পর্শ করবে সেদিন তাঁর মৃত্যু অনিবার্য। ভয় পেয়ে জেলার তাঁকে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে রাজী হন কিন্ত বেঁকে বসেন পাঞ্জাবের গভর্নর মোরেন্সী।
পরের দিন জেল সুপার, ডাক্তার ও সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী নিয়ে তাঁর সেলে ঢুকলেন। তখন তাঁকে ঘিরে ব্যারিকেড করে শুয়ে রয়েছেন তাঁর সহযোদ্ধারা। ডাক্তার বললেন – “কোনো ভাবেই উনাকে উত্তেজিত করা যাবেনা, তাহলেই হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাবে।” তাই জেল সুপার আর কোনো চেষ্টাই করেন নি।
পরের সাতদিন গোটা ভারতবর্ষের মানুষ দারুন উদবেগ ও উৎকন্ঠায় দিন কাটাতে থাকলেন। অবশেষে এলো সেই ভয়ংকর দিনটা- ১৯২৯ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর। শনিবার। ঠিক দুপুর ১টা ০৫ মিনিটে অমর বিপ্লবী যতীন দাস ৬৩ দিন অনশনের পর লাহোর জেলে মাত্র ২৪ বছর বয়সে চির নিদ্রায় ঢলে পড়লেন।
১৩ই সেপ্টেম্বর, ১৯২৯। লাহোর বোস্টাল জেলের ভেতরে ডাক্তার আর অফিসারদের ভিড়। স্তব্ধ হয়ে এসে দাঁড়ালেন বন্ধুরা – বিজয় কুমার সিংহ, জিতেন্দ্র নাথ সান্নাল ও অজয় ঘোষ। সূর্য একটু একটু করে উঠছে। ১৩ই জুলাই থেকে ইংরেজ বিরোধী যে বিস্ময়কর অনশনের শুরু ১৩ই সেপ্টেম্বর ৬৩ দিনের মাথায় বেলা ১:০৫ মিনিটে হল তার চির সমাপ্তি।
তৎকালীন ভাইসরয়ের অফিস থেকে লন্ডনে বার্তা গেল, “ষড়যন্ত্র মামলার মিস্টার দাস, পাঁচজনের মধ্যে যিনি অনশন করছিলেন, আজ দুপুরের পরে বেলা ১টার সময় মারা গেছেন।”
রক্ত গোলাপের স্তুপে ঢেকে দেওয়া হল যতীন্দ্রনাথ দাসের নশ্বর দেহ। রাজবন্দীরাই বহন করে নিয়ে গেলেন জেল গেট পর্যন্ত। তখন বাইরে পাঞ্জবের নেতৃবৃন্দ অপেক্ষা করছেন সাথে বিপুল জনতা। প্রতিটি মানুষের চোখে জল, শহীদের অপরাজিত আত্মাকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন। বিকেল চারটেয় শহীদের দেহকে বহন করে এক অভূতপূর্ব শোভাযাত্রা শহরের পথে অগ্রসর হ’লো। প্রায় এক লাখ লোকের বিশাল শোক মিছিল যা প্রায় এক মাইল লম্বা।
যতীন দাসের দেহ নিয়ে ’লাহোর এক্সপ্রেস’ বিকেলে দিল্লি পৌছলে দিল্লি শহর ভেঙে পড়লো স্টেশানে। ফুল আর ফুলের মালা দিয়ে আগত অগনিত মানুষের মুখে ধ্বনিত হল, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ .. ‘যতীন দাস জিন্দাবাদ’। দিল্লি থেকে রাত্রি আড়াইটের ট্রেন কানপুরে পৌছলে বিপুল জনতার সাথে বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ’রা যতীন দাসের দেহের সামনে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন।
শোকে স্তব্ধ হয়ে ছিল কলকাতা। দক্ষিণ কলকাতার সমস্ত দোকান পাট বন্ধ হয়ে গেল দ্রুত। ছাত্ররা কালো পতাকা হাতে দলে দলে মিছিলে বেড়িয়ে পড়লো। সমস্ত বাংলা জুড়ে মানুষ শোকে বিহ্বল হয়ে পড়ল। সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে কলকাতায় দ্রুত ফিরে এসেই বি.পি.সি.সি.-র সভাপতি হিসেবে ১৫ই সেপ্টেম্বরকে ‘শোক দিবস’ হিসেবে পালন করার জন্য ডাক দিলেন।
শহীদ যতীন দাসের দেহ এলো বাংলায়। হাওড়া স্টেশানের অবস্থা তখন আরোও উত্তাল। দুর্বার জনস্রোত প্লাটফর্ম ছাড়িয়ে নিচের ইয়ার্ডে ছড়িয়ে গেছে। স্টেশানে তিল ধারনের জায়গা কোথাও ছিল না। শুধুমাত্র একটুখানি ঘেরা জায়গায় (স্বেচ্ছা সেবকদের দ্বারা ঘেরা) খালি পায়ে অপেক্ষা করছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু, শ্রীযুক্তা বাসন্তী দেবী, নেলী সেনগুপ্তা, প্রমূখ বিশিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ। প্রথমে তাঁর দেহ টাউন হলে নিয়ে গিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পিতা বঙ্কিমবিহারী দাস বলেছিলেন, “আমার সন্তানের জন্য আমি গর্বিত। আমি আজ সবচেয়ে ভাগ্যবান পিতা।”
সুভাষচন্দ্র বসু নিজের কাঁধে তুলে নিলেন খাটের একদিক। শহীদ যতীন দাসের শবদেহ বহন করে যে বিরাট জনতার শোকযাত্রা কেওড়াতলা শ্মশানের দিকে অগ্রসর হয়েছিল, একমাত্র দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের শবদেহ বহনের সময়েই এরূপ জনসমাগম ঘটেছিল। সরকারী রিপোর্ট অনুসারে প্রায় পাঁচ লক্ষ লোক সমবেত হয়েছিল। শোকযাত্রার সামনে মহিলা ও বালিকাদের দল গাইতে গাইতে চলেছিল, ‘রক্তে আমার লেগেছে যে আজ সর্বনাশের নেশা …’
শ্মশানে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বিশিষ্ঠ নেতৃবর্গ। নতুন করে আবার ফুলে ফুলে ঢেকে দেওয়া হল তাঁর দেহ। শঙ্খধ্বনি ও বিউগলের সঙ্গীত বেজে উঠলো। নতজানু হয়ে সুভাষচন্দ্র বসু শহীদ যতীনদাসের পদধূলি নিয়ে নিজের কপালে লেপন করলেন, বীরের আত্মত্যাগ ও প্রতিজ্ঞার দৃঢ়তাকে তিনি গ্রহণ করলেন। চন্দনকাঠের চিতা ওপর যখন তাঁর দেহ তোলা হল, তখন পিতা বঙ্কিম বিহারী দাসের বানী পাঠ করলেন শ্রীহেমেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত –
”ওঁ নারায়ণ! যে বিশ্বাসঘাতকতায় মগ্ন হয়ে আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই দেশকে বিদেশিদের হাতে তুলে দিয়েছিল, তারই প্রায়চিত্ত স্বরূপ আমি আমার আদরের পুত্রকে তোমার হাতে তুলে দিলাম। অশ্রুজল ভিজিয়ে আমার খেঁদুকে তোমার পায়ে সমর্পণ করলাম। তার এই আত্মবিনাশের মধ্য দিয়ে সমগ্র ভারত যেন জেগে ওঠে।”
ভগৎ সিং এবং বটুকেশ্বর দত্ত দিল্লির সেন্ট্রাল অ্যাসেম্বলিতে যে বোমা ছুঁড়েছিলেন খুব সম্ভবত সেগুলি ছিল যতীন দাসেরই বানানো। একসময় যতীন দাস গ্রেপ্তার হন এবং অনশন শুরু করেন। সেটা ১৯২৯। যদিও ১৯২৫ সালেও একবার অনশন করেছিলেন তিনি। রাজবন্দি মর্যাদার দাবিতে লাহোর জেলে ১৯২৯–এ অনশন শুরু করেছিলেন ভগৎ সিং, বটুকেশ্বর দত্ত, যতীন দাস। পরবর্তীকালে ইংরেজ সরকার কিছুটা নমনীয় হলে ভগৎ সিং, বটুকেশ্বর অনশন তুলে নেন। কিন্তু একরোখা যতীন দাস তা করলেন না। তাঁর মত ছিল প্রতিটি দাবি ব্রিটিশকে মানতে হবে। ৬৩ দিন অনশন চালিয়েছিলেন। পরে নল দিয়ে জোর করে খাওয়ানোর সময় শ্বাসনালিতে খাবার আটকে লাহোর জেলে যতীন দাসের মৃত্যু হয়। ১৯২৮ সালের ৮ই জুলাই কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বাবাকে লেখা যতীন দাসের চিঠিটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। লিখছেন ‘পাঞ্জাবের জেল হইতে অদ্য আমাকে এখানে লইয়া আসিয়াছে। ... আমাকে বোধ হয় শীঘ্রই হয় খালাস করিয়া দিবে, না হয় কোনও গ্রামে নজরবন্দী করিয়া রাখিবে। আমি যত শীঘ্র বাড়ী যাইতে চেষ্টা করিব। ... কিরণ যদি আসিয়া থাকে ত’ অবিলম্বে আমার সহিত যেন সাক্ষাৎ করে। ইতি খেঁদু।’ কিন্তু তাঁকে ছাড়া হয়নি। বাড়ি যাওয়ার স্বপ্ন তাঁর অধরাই থেকে যায়। প্রেসিডেন্সি থেকে তাঁকে আবার লাহোর জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ‘কিরণ’ যতীন দাসের ছোট ভাই। আর ‘খেঁদু’ তাঁর ডাকনাম।
স্বয়ং নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর দেহ কাঁধে করে শ্মশানে পৌঁছে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “যতীন হলো এযুগের দধীচী… অত্যাচারী ইংরেজ সরকারকে পরাজিত করবার জন্য নিজের অস্থি দিয়ে গেলো।”
যতীনের মৃত্যুর পরে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন,
“দুঃখের মন্থন বেগে উঠিবে অমৃত,
শঙ্কা হতে রক্ষা পাবে যারা মৃত্যুভীত।”
মৃত্যুর পরে তাঁকে নিয়ে ‘ভারতবর্ষ’ পত্রিকায় লেখা হয়, “অনশনে জলমাত্র পান না করিয়া তেষট্টি দিন ধরিয়া মৃত্যুর আবাহন! তিনি অমৃতস্য পুত্রাঃ।”
‘প্রবাসী’-তে লেখা হয়েছিল, “তেষট্টি দিন ধরিয়া তিনি মৃত্যুকে ধীর পদক্ষেপে ক্রমশ নিকটবর্তী হইতে দেখিয়াছেন। কিন্তু ভীত, বিচলিত হন নাই। ধন্য তাঁহার দৃঢ়তা।”
তাঁকে ‘অতিমানবিক’ বলেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।
যতীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পরেও হাঁপ ছাড়তে পারেনি ব্রিটিশ সরকার। নিষিদ্ধ করেছিল কাজী নজরুলের ‘প্রলয়শিখা’ কাব্যগ্রন্থটি। যার অন্যতম কবিতাটির নাম ‘যতীন দাস’।
বিপ্লবী নায়ক শ্ৰীভূপেন রক্ষিত রায় তাঁর গ্রন্থ ‘সবার অলক্ষ্যে’তে লিখেছেন,
“বাংলা তথা ভারতের বিপ্লবযুগের প্রধান অবদান হল ‘মার্টারডম’ বা আত্মদানের শিক্ষা। ‘ভাবনাহীন চিত্তে’ জীবন ও মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্যরূপে গ্রহণ করবার তত্ত্ব পরিস্ফুট হয়েছে অজস্ৰ বিপ্লবী শহিদের আত্মোৎসর্গে শতসহস্ৰ বিপ্লবী-কর্মীর দুর্জয় কর্মকাণ্ডে, বিপ্লবীর সাহস, মৃত্যুভয়হীনতা, কর্মনিষ্ঠা, নিয়মানুবর্তিতা ও বৃহৎ-এর পানে সমুন্নত দৃষ্টিই জাতির বেঁচে থাকার সঞ্চয়। বিপ্লবের ইতিহাস মিউজিয়ামে যত্ন করে তুলে রাখার বস্তু নয়, ইহা জীবনপথে নিত্য কাজে লাগাবার সম্পদ।”
বিপ্লব জাতিকে নেতিবাদ শেখায় না, সে যা দেয় তা ‘ডিরেক্ট’ ও ‘পজিটিভ’। বিপ্লবী শুধু ধ্বংসের বার্তা শোনান না। তাঁর কণ্ঠে একই সঙ্গে ধ্বনিত হয় ধ্বংস ও সৃষ্টির আহ্বান। তাঁর বাণী তাই চিরন্তন। সে-বাণী লালন করতে হয় সুখে-দুঃখে, সম্পদে-বিপদে সর্বক্ষণ।
আসল নাম – শ্রী যতীন্দ্রনাথ দাস, লোকমুখে যতীন দাস
পিতা – শ্রী বঙ্কিম বিহারী দাস,
মাতা – শ্রীমতী সুহাসিনী দেবী
জন্ম – ২৭শে অক্টোবর ১৯০৪,
ডাক নাম – খেঁদু (বাবা ডাকতেন),
মৃত্যু – ১৩ই সেপ্টেম্বর ১৯২৯।
(তথ্যসূত্র:
১- বিপ্লবী যতীন দাস, শেখ রফিক ও মিফতাহুর রহমান চৌধুরী, বিপ্লবীদের কথা।
২- The Martyr: Bhagat Singh Experiments in Revolution, Kuldip Nayar, Har-Anand Publications (২০০০)।
৩- Filming Reality: The Independent Documentary Movement in India by Shoma A. Chatterji (২০১৫)।
৪- আজকাল পত্রিকা, ২রা সেপ্টেম্বর ২০১৫ সাল।
৫- ‘শহীন যতীনদস ও ভারতের বিপ্লব আন্দোলন’, সন্তোষ কুমার অধিকারী।
৬- ড. প্রেম দত্ত বর্মা, পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটি উইকলি বুলেটিন, ১৯শে সেপ্টেম্বর ১৯৬৪।
৭- আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৫ই আগস্ট ২০১৮ সাল।)
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত