লোকসভা ভোটে দেশ জুড়ে উঠেছিল গেরুয়া ঝড়। কিন্তু মাত্র ৫ মাসের মধ্যেই বদলে গেছে সেই চিত্র। এবার আর তেমন খাটল না মোদী ম্যাজিক। মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোট পুনরায় ক্ষমতায় ফিরলেও নিজেদের ১৬টি আসন বাড়িয়ে সেই জোটকে জোরাল ধাক্কা দিয়েছে কংগ্রেস-এনসিপি জোট। তাই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-শিবসেনা জোট ক্ষমতা ধরে রাখলেও এবারের নির্বাচনী ফলাফল শাসক দলের কাছে অশনি সংকেত বলেই মনে করছে শিবসেনা।
ফলাফলে দেখা গেছে আগের থেকে আসন সংখ্যা কমেছে বিজেপির। তাই তাঁদের জোটসঙ্গী শিবসেনা মনে করছে এই ‘মহা জনদেশ’ শেষ পর্যন্ত এটা বুঝিয়ে দিয়েছে যে ‘ক্ষমতার অহংকার’ করলে তাঁদেরকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে মানুষ। ২১ অক্টোবর ভোটগ্রহণের আগে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস তাঁর ‘মহা জনদেশ যাত্রা’ চলাকালীন মোট ২৮৮ টির মধ্যে ২০০ টিরও বেশি নির্বাচনী এলাকা সফর করেছিলেন। ২৪ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের আগেও প্রাক্কালে তিনি ২০০-র বেশি সংখ্যক আসনে জয়ী হওয়ার দাবি করেছিলেন।
শিবসেনা নির্বাচনী ফলাফলের পর তাঁদের মুখপত্র ‘সামনা’-য় দাবি করেছে যে, এই জনাদেশ এটা বোঝাচ্ছে যে বিরোধীদের বিভক্ত করে নিজেদের ফল ধরে রাখার সমীকরণ নিয়ে এবার বোধহয় ভাবা উচিত। কেননা ২০১৪ সালের থেকে বেশ কিছুটা ভোট কমেছে বিজেপি-শিবসেনা জোটের। নির্বাচনের ফলাফলের পর দেখা যায় যে মহারাষ্ট্রে নিজেদের আসন সংখ্যা বাড়িয়েছে বিরোধী কংগ্রেস-এনসিপি জোট। এই প্রসঙ্গই তুলে ধরে শিবসেনার মুখপত্রে বলা হয় যে, এই ফলাফলই প্রমাণ করেছে যে রাজনীতিতে বিরোধীদের কখনোই পুরোপুরি শেষ করা যায় না।
এছাড়াও শরিক দলের মুখপত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে লোকে সংশয়ে পড়ে গেছিল যে শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন দলের কোনও ভবিষ্যৎ আছে কিনা। তবে এনসিপি ৫০-আসনে জয় লাভ করে দেখিয়ে দিয়েছে যে তাঁরা শেষ হয়নি। আবার কংগ্রেস জিতেছে ৪৪ টি আসনে। ফলাফল এটাই বুঝিয়ে দিয়েছে যে ক্ষমতার অহংকার না দেখানোই ভাল, এই ফলাফল শাসকের প্রতি একটি সতর্কতা ছিল। এবার সাবধান হোন।