ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি-শিবসেনা জোট। তবে সেই হাওয়ার দাপট কিছুটা হলেও স্তিমিত। আসন সংখ্যা কমছে। লোকসভা ভোটে দেশ জুড়ে উঠেছিল গেরুয়া ঝড়। কিন্তু মাত্র ৫ মাসের মধ্যেই বদলে গেল সেই চিত্র। আজ মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের গণনার পরে আর উঠল না মোদী ঝড়। মহারাষ্ট্রে বিজেপি–শিবসেনা জোট পুনরায় ক্ষমতায় ফিরলেও নিজেদের ১৬টি আসন বাড়িয়ে সেই জোটকে জোরাল ধাক্কা দিয়েছে কংগ্রেস–এনসিপি জোট।এই ধাক্কাই বলে দিচ্ছে মানুষের আস্থা হারাচ্ছে বিজেপি শিবির। তাই ক্ষমতায় ফিরলেও একথা দিনের আলোর মত স্পষ্ট মানুষ আর গেরুয়া জুমলায় ভুলছেন না। এই যে খারাপ ফল, এর থেকে শিক্ষা নিক দল, এমনটা জানাচ্ছেন স্বয়ং দলের কর্মী।
এই ফল প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপির ভবিষ্যৎ নিয়ে। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দিয়ে ভালো ফলের জন্যে আস্ফালন করা হচ্ছে। কিন্তু তা যে শুধুই কথার কথা তা বলছেন স্বয়ং গেরুয়া কর্মীরাই।
আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপির তরফে অবশ্য মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানার ধাক্কা স্বীকার করা হচ্ছে না। একই ভাবে এ রাজ্যেও বিজেপি নেতৃত্বে ওই দুই রাজ্যের ভোটের ফলকে ‘হাওয়া ঘোরা’ বলে মানছেন না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানায় বিজেপিই সরকার গড়বে। ওখানকার ভোটের ফলের উপর পশ্চিমবঙ্গের ফল নির্ভর করবে না। এখানে মানুষ ঠিক করে ফেলেছে, ২০২১-এ কাকে আনবে।’’
দিলীপবাবু এ কথা বললেও বিজেপির অন্দরের আলোচনায় নেতাদের কেউ কেউ বলেই থাকেন, রাজ্যের সব ব্লকে এখনও অত পোক্ত সংগঠন দলের নেই। অনেক জায়গাতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটায় বিদ্ধ দল। কোথাও কোথাও জেলা, ব্লক বা বুথ স্তরের কমিটিতে কাজের লোকের চেয়ে নেতৃত্বের কাছের লোক হওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ যোগ্যতা বলে মনে করা হয়। বাঙালির কাছে ‘হিন্দি ভাষীদের দল’ তকমাটিও এখনও পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে পারেনি বিজেপি। তাই যতই ভালো ফল করার স্বপ্ন দেখুক বিজেপি, একথা এখন দিনের আলোর মত স্পষ্ট যে কাজ করছে না মোদী ম্যাজিক।