ভাইজ্যাগ-ভেমিলি বিচ রোডের উপর থোটলাকোন্ডার পাহাড়ের মাথায় বৌদ্ধ বিহার পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের জায়গা। এই ঐতিহ্যবাহী থোটলাকোন্ডার মহাস্তূপের একটি অংশ ভেঙে পড়ল বৃষ্টির জোরে। প্রশাসন সূত্রে খবর, টানা বৃষ্টির জেরেই এই দুর্ঘটনা। প্রাচীন স্তূপের সংরক্ষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে।
এই স্তূপের পুনর্নিমাণ হয়েছিল ২০১৬ সালে। তিন বছরের মধ্যেই ভেঙে পড়ল ২০০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধ স্তূপ। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচার বিভাগের (ইনট্যাক) তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরনের প্রাচীন স্থাপত্য সংরক্ষণ ও পুনর্নিমাণের জন্য বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। সেই সব বিচার বিবেচনা না করেই ২০১৫ সালে এই স্তূপ পুনর্গঠনের কাজ শুরু করে রাজ্য সরকার। আধুনিক ইট, নির্মাণ বস্তু ব্যবহার করে স্তূপ সারানোর কাজ শুরু হয়। বিজয়বড়া থেকে পাথর আনানো হয়। এই পদ্ধতিতে বিশেষ আপত্তি জানিয়েছিল ইনট্যাক।
ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের (অন্ধ্র উত্তর উপকূল) ডেপুটি ডিরেক্টর এস ভেঙ্কট রাও বলেছেন, স্তূপের ওজনের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তা ছাড়া কয়েকদিন ধরেই টানা বৃষ্টি হচ্ছে। বিজয়ওয়াড়া কমিশনের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। স্তূপের চারদিকে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে পর্যটকদের কোনও দুর্ঘটনা না হয়। খুব দ্রুত ফের এই বৌদ্ধ স্তূপ সারিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইনট্যাকের কো-অর্ডিনেটর মায়াঙ্ক কুমারি দেও বলেছেন, “মহাস্তূপের ভিতই মজবুত হয়নি। আমরা পুনর্নিমাণে বাধা দিয়েছিলাম। কিন্তু নিষেধ মানা হয়নি। আধুনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পদ্ধতিতে এই স্তূপ পুনর্গঠন করা সম্ভব নয়। তারই ফল মিলল হাতেনাতে। তিন বছরের মধ্যেই ভেঙে পড়ল দেশের ঐতিহ্য।”