মহারাষ্ট্রে বিজেপি স্বস্তিতে থাকলেও হরিয়ানায় যখন তখন উল্টে যেতে পারে অঙ্কের পাশা৷ সেখানে মোদী ঝড় ম্লান। গণনা যে দিকে এগোচ্ছে তাতে ত্রিশঙ্কু ফল হতে পারে হরিয়ানায়৷ সেক্ষেত্রে কিংমেকারের ভূমিকা নিতে পারে দুষ্মন্ত চৌটালার জেজেপি অর্থাৎ জননায়ক জনতা পার্টি৷ এটা তো সবে শুরু, ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে ছবিটা পরিস্কার হয়ে যাবে, আত্মবিশ্বাসী জেজেপি প্রধান দুষ্মন্ত চৌটালা৷
কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মনে আছে৷ সেখানে শেষপর্যন্ত হাল ধরেছিল কুমারস্বামীর জেডিএস৷ বিজেপির কংগ্রেস হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর মাত্র কয়েক আসনের জন্য পিছিয়ে ছিল কংগ্রেস৷ সেইসময় আসরে নামে জেডিএস৷ এগিয়ে এসে হাত ধরে কংগ্রেস৷ এবং শেষ পর্যন্ত জেডিএস-কংগ্রেসই বসেছিল কর্ণাটকের মসনদে৷ কিছু মাস পরে অবশ্য পাল্টে যায় ছবিটা৷ এক্ষেত্রে হরিয়ানায় মোদী ম্যাজিক কাজ নাও করতে পারে৷ কারণ কিছু আসনে বিজেপি যদি এগিয়েও থাকে সেক্ষেত্রে কিং মেকার হতে পারে জেজেপি৷ এই দল যদি কংগ্রেসের হাত ধরে তাহলে গোটা ছবিটাই পাল্টে যাবে৷
নতুন দল গঠন করে প্রথমবার ভোটের লড়াইয়ে সামিল হওয়া দুষ্যন্ত চৌটালার দাবি, কংগ্রেস বা বিজেপি-কোনও দলই ৪০-এর বেশি আসনে জয়ী হতে পারবে না৷ তাহলে কী হরিয়ানা আসল চাবিকাঠি এখন জেজেপির হাতেই৷ আসল খেলা দেখা এখন শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা৷ এদিকে সূত্রের খবর, গতকালই চৌটালার সঙ্গে বৈঠক সেরে রেখেছেন কংগ্রেসের ভুপিন্দ্র সিং হুডা৷
ভোটের পর সবকটি বুথ ফেরত সমীক্ষা যেখানে গেরুয়া ঝড়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল, সেখানে একমাত্র অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়া জানিয়েছিল, হরিয়ানার চিত্রটা একটু অন্যরকম হবে। আর প্রাথমিক প্রবণতা ঘটছেও তাই। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন বিজেপি ও কংগ্রেসের দখলে নেই। এদিকে কংগ্রেসও বিজেপিকে সরকার থেকে উপড়ে ফেলতে বদ্ধপরিকর। সূত্রের দাবি, জেজেপির দাবিতে নাকি কংগ্রেসও রাজি!