বাংলার মানুষ যাতে তাঁদের মনের কথা জানাতে পারেন নির্দ্বিধায় তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছিলেন এক নতুন কর্মসূচী ‘দিদিকে বলো’। শুরুর দিন থেকেই সমাদৃত হয়েছে দিদিকে বলো। বহু মানুষ একটি ফোনেই পেয়েছেন তাঁদের সমস্যার সমাধান। এবার দিদিকে বলোয় ফোন করে জমির পাট্টা পেলেন শান্তিপুরের বিদ্যুতকেন্দ্র লাগোয়া জমিতে বসবাসকারী প্রায় শতাধিক পরিবার।
প্রায় চার দশক আগে এই পরিবারগুলির অস্থায়ী ঠিকানা হয়েছিল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংলগ্ন শ্রীকৃষ্ণপুর ও খানজাদাপুর পুনর্বাসন কলোনি। কিন্তু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকানাধীন জমিতে অস্থায়ীভাবে বাস করলেও জমির মালিকানা না মেলায় সেখানে স্থায়ী ঠিকানা হয়নি। বসবাসের জন্য জমির সরকারিভাবে পাট্টা পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই আবেদন করে আসছিলেন পুনর্বাসন কলোনির বাসিন্দারা। দাবি পূরণে সম্প্রতি বাসিন্দারা ‘দিদিকে বলো’য় ফোন করে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। এরপরেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে এবিষয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) সরিৎকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন পুনর্বাসন কলোনির জমির পাট্টা দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখন জমির সমীক্ষার কাজ চলছে।’’
কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুনর্বাসন কলোনির জমির পাট্টা পাওয়ার জন্য আমাদের কাছে আবেদন এসেছিল। ভূমি ও ভূমি-সংস্কার দফতর সমীক্ষা করে আমাদের জানানোর পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।’’
আশার আলো দেখছেন পুনর্বাসন কলোনির বাসিন্দারা। শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা বলেন, ‘‘পুনর্বাসন কলোনির শতাধিক পরিবার অস্থায়ীভাবে বাস করলেও জমির পাট্টা না পাওয়ায় সরকারি বাংলা আবাস যোজনা কিংবা গীতাঞ্জলি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে না। ওই সব পরিবারদের জমির পাট্টা দেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছিলাম।’’