মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলে থাকেন, ‘এগিয়ে বাংলা’। এ কথা মোটেও ভ্রান্ত নয়। কারণ বিগত ৮ বছরে মমতার নেতৃত্বে একদিকে কন্যাশ্রী, উৎকর্ষ বাংলা, সবুজসাথীর মতো প্রকল্পগুলি যেমন পেয়েছে আন্তর্জাতিক সাফল্য, তেমনি কেন্দ্রীয় রিপোর্টে ১০০ দিনের কাজে পরপর তিনবার রাজ্যের মুকুটে উঠেছে সেরার শিরোপা। পঞ্চায়েত-গ্রামোন্নয়ন এবং রেশন ব্যবস্থাতেও সারা দেশের কাছে এ রাজ্য হয়ে উঠেছে রোল মডেল। এবার গ্রামের উন্নয়নে খুব ভাল কাজ করায়, রাজ্যের ৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ২টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং বীরভূম জেলা পরিষদকে পুরষ্কার দিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। বুধবার দিল্লীতে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়।
পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ নং ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর ব্লকের বাঁকাদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এবং বীরভূম জেলার ইলামবাজার ব্লকের ইলামবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত ‘দীনদয়াল উপাধ্যায় পঞ্চায়েত সশক্তিকরণ’ পুরষ্কার পেয়েছে। এর মধ্যে বর্ধমানের শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচ্ছন্নতার জন্য পুরষ্কার পেয়েছে। ইলামবাজার গ্রাম পঞ্চায়েত পুরষ্কৃত হয়েছে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করার জন্য। এছাড়াও শিশুদের জন্য সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য ‘চাইল্ড ফ্রেন্ডলি গ্রাম পঞ্চায়েত অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালি ১ নং ব্লকের সরবেড়িয়া আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত।
অন্যদিকে, যে দুটি পঞ্চায়েত সমিতি পুরষ্কৃত হয়েছে, সেগুলি হল বাঁকুড়ার জয়পুর এবং জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি। ভাল কাজ করার জন্য বীরভূম জেলা পরিষদকেও পুরষ্কৃত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্থানীয় মানুষের মতামত নিয়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা করায় পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ২ নং ব্লকের সারবোঠ গ্রাম পঞ্চায়েতকে নানাজি দেশমুখ রাষ্ট্রীয় গৌরব গ্রামসভা পুরষ্কার দিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। পুরষ্কার হিসাবে জেলা পরিষদকে ৫০ লক্ষ টাকা, পঞ্চায়েত সমিতিকে ২৫ লক্ষ টাকা এবং গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। যা উন্নয়ন খাতেই খরচ করা হবে।