রেশন কার্ডে নতুন নাম তোলা, নাম-ঠিকানার সংশোধনের জন্য সময় বাড়াল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই কাজ। একইসঙ্গে ভোটার লিস্টে নাম তুলতে গেলে ঠিক কী কী নথি প্রয়োজন হয়, তার তালিকা তুলে ধরেন মমতা। উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ভোটার তালিকায় গুরুত্ব দিয়ে করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
সরকারি আমলাদের কড়া নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যত বেশি সংখ্যক ক্যাম্প করে এই কাজ করতে হবে। সেপ্টেম্বর মাসে একদফায় রেশন কার্ডে নাম তোলা ও সংশোধনের কাজ হয়েছে। কিন্তু জেলায় জেলায় এখনও বহু মানুষ তা করতে পারেননি। সে কারণেই দ্বিতীয় ধাপে এই কর্মসূচি চালাবে রাজ্য। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক জায়গায় চার লক্ষ লোক লাইন দিয়ে দিল, রোদে মারা গেল – এ সব যেন না হয়। ব্যাপারটাকে বিকেন্দ্রীকৃত করে দিন’। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এর সঙ্গে এনআরসির কোনও সম্পর্ক নেই। ওটা মাথা থেকে বার করে দিন’।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে বলেন, ‘সরকারি সভা থেকে বলছি। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বলছি। এখানে এনআরসির কোনও পরিকল্পনা নেই।’ মমতার কথায়, ‘আসামে বিজেপির সরকার রয়েছে। এখানে আমাদের সরকার’। নিশ্চিত করে দেন বাংলায় কোনও ভাবেই তা হবে না। মমতা আরও বলেন, ‘কেউ কেউ আছে কোনও কিছু না দেখেই স্যাটাস্যাট ক্যানসেল করে দেয়। ওটা করলে হবে না। কোনও মানুষকে হয়রান হতে হলে আমি কিন্তু অ্যাকশন নেব’।
ভোটার কার্ডের নাম তোলা নিয়েও সরকারি আমলাদের কড়া বার্তা দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘এখানে থাকেন তাঁদের নাম অবশ্যই উঠবে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে থাকে আর এখানে নাম তুলে দিল, সেটা যেন না হয়। তাহলে ৯ কোটি লোকটা ১২ কোটি হয়ে যাবে। কারও যেন ডবল নাম না থাকে। আপনারা কম্পিউটারে ক্লিক করে সবটা দেখে নেবেন’। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড – এই রকম একটা ডকুমেন্ট থাকলেই নাম তোলা যাবে।