পিএমসি ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে৷ বাড়ছে মৃত্যু মিছিল৷ সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল ৭৩ বছরের সোলাপুরের এক বৃদ্ধা৷ মেয়ের অ্যাকাউন্ট ছিল পিএমসি ব্যাঙ্কে৷ তিনি এই পিএমসি ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির শিকার৷ জানতে পেরে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যান ৭৩ বছরের ভারতী সদারঞ্জনী। তিনি আর অতিরিক্ত চাপ নিতে পারেননি৷ এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর জামাই চন্দন চোতরানি৷
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী ও আমার অ্যাকাউন্ট ছিল পিএমসি ব্যাঙ্কে৷ আমাদের সারা জীবনের সঞ্চয় এই ব্যাঙ্কে রয়েছে৷ চোতরানিদের প্রায় ২.২৫ কোটি টাকা ছিল এই ব্যাঙ্কে৷ তিনি আরও জানান, তাঁর স্ত্রী হেমা আতঙ্কের কথা মায়ের কাছে বলেন৷ সেই কথা সহ্য করতে পারেননি তিনি৷ চোতরানি মুলুন্দয়ে থাকেন৷ আরবিআই পিএমসি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আগে তিনি বিদেশে যাওয়ার টিকিট কাটেন৷ তাঁর আমদানি রপ্তানির ব্যবসা রয়েছে৷ তিনি বিদেশে যাওয়ার টিকিট করেছেন৷ এখন অসুবিধায় পড়েছেন৷ সদারঞ্জনীর হৃদরোগের কোনও উপসর্গ ছিল না৷ তাঁর পরিবার জানিয়েছে৷ চোতরানি বলেন, তাঁর শারীরিক সমস্যা ছিল না৷ এমন কিছু ঘটার কোনও সম্ভাবনা ছিল না৷ আমার স্ত্রী গভীর মর্মাহত৷ ব্যাঙ্ক তাঁর জীবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে দিয়েছে৷ দাবি চোতরানির৷
এর আগে প্রাক্তন জেট এয়ারওয়েজ কর্মী সঞ্জয় গুলাতি ১৪ অক্টোবর মারা যান পিএমসি ব্যাঙ্ক প্রতিবাদে সামিল হওয়ার পর৷ পরের দিন মুলুন্দে দোকানে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা যান ফাত্তোমাল পঞ্জাবী৷ ১৮ অক্টোবর পিএমসি ব্যাঙ্ক ট্র্যাজিডির শিকার হন ৮০ বছরের মুরলীধর ধারা৷ আরবিআই এর নির্দেশিকার জেরে তাঁর পরিবার বাইপাস সার্জারির টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে পারেননি৷ এরপর তিনি মারা যান৷ পিএমসি ব্যাঙ্ক আমানতকারী বলেন, অনেকে মারা গেছেন, সরকার অপেক্ষা করছে আরও অনেকে মারা যাবে৷ তারা আমাদের হত্যা করছে৷