শৈশবে অপুষ্টির শিকার কমবেশি এই দেশের সব প্রান্তই। বাংলার ক্ষ্মমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছিলেন শিশুদের পুষ্টিগত বিকাশের দিকে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে তুলনা করলে সকলের চেয়েই ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলা। এমনকী, দেশীয় গড়ের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে এ রাজ্য। নয়া দিল্লীতে এ কথা জানান খাদ্য বিষয়ক রাষ্ট্রপুঞ্জের এক শীর্ষস্থানীয় কর্তা বিশো প্যারাজুলি।
প্যারাজুলির ব্যাখ্যা, “বাংলায় শিশুদের অপুষ্টি অন্যান্য অনেক রাজ্যের তুলনায় ঢের কম। এ ব্যাপারে বেশ খারাপ অবস্থা উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওডিশার মতো রাজ্যগুলির। তাই প্রথম দফায় ফর্টিফায়েড রাইস উৎপাদনের কর্মসূচি ওই সব অপুষ্ট রাজ্যগুলিতেই নেওয়া হয়েছে”।
অপুষ্টির থাবা শিশুদের জীবনে পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে ঢের বেশি গুজরাট, রাজস্থান, উত্তরদেশের মতো রাজ্যে। সে রক্তাল্পতা হোক বা মস্তিষ্কের বৃদ্ধি কিংবা ওজন— সবের নিরিখেই বাংলার অবস্থান ঢের ভালো আর পাঁচটা বড় রাজ্যের চেয়ে।
সারা দেশে অস্বাভাবিক কম ওজনের শিশু জন্মানোর হার যেখানে ২১.৪ শতাংশ, বাংলায় এই হার অনেকটাই কম, ২০.৮ শতাংশ।গুজরাতে যেখানে প্রতি ১০০ জন মহিলার মধ্যে ৬০.১ জন রক্তাল্পতায় ভুগছেন বাংলায় সে সংখ্যাটা ৫৭।দেশের ৩৯.৩ শতাংশ পাঁচ বছর বয়সি শিশুর বয়সের তুলনায় কম উচ্চতা, এ রাজ্যে সেই সংখ্যা ৩২ শতাংশ।