যুবভারতী নয়, আই লিগের কয়েকটি ম্যাচ কল্যাণী স্টেডিয়ামে খেলতে ইচ্ছুক কলকাতার দুই প্রধান তা আগেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, কয়েকটি নয়, বরং কলকাতা ডার্বি ও লিগের শুরুর দিকের কয়েকটি ম্যাচ বাদে বাকি প্রায় সবকটি ম্যাচই কল্যাণী স্টেডিয়ামে খেলবে ইস্ট-মোহন।
এই বছর লাইসেন্সিংয়ের সময়েই হোম গ্রাউন্ড হিসেবে যুবভারতীর পাশাপাশি কল্যাণী স্টেডিয়ামকেও হোম গ্রাউন্ড হিসেবে দেখিয়েছে দুই প্রধান। তখন থেকেই জানা গিয়েছিল আই লিগের কিছু ম্যাচ এই মাঠে খেলতে আগ্রহী দুই দলের কর্তারা। নতুনভাবে সংস্কারের পর যুবভারতীর পরে কল্যাণী স্টেডিয়ামই যে বাংলার সেরা মাঠ, তা নিয়ে ফুটবলমহলে কোনও দ্বিমত নেই। সুসজ্জিত ড্রেসিংরুম, গ্যালারি, ফ্লাড লাইটের পাশাপাশি সেখানে রয়েছে দুটো উচ্চমানের অনুশীলন মাঠও। কলকাতা লিগের কিছু খেলা কল্যাণীতে হয়েওছে। আর তারপরেই আই লিগের ম্যাচও কল্যাণীতে খেলার কথা মাথায় আসে দুই দলের কর্তাদের।
আর সবচেয়ে বড় কথা হল যুবভারতীর থেকে কল্যাণীতে ম্যাচ আয়োজনে খরচ হবে অনেক কম। সাধারণত যুবভারতীতে ম্যাচ আয়োজন করার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা করে দিতে হয়। কিন্তু এতদিন সরকারের অনুদানে সেই টাকা দিতে হত না দুই প্রধানকে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল এখন কর্পোরেট। তাই এবার ১৫ লক্ষ টাকা করেই দিতে হবে তাদের। ফলে খরচ কমাতে কল্যাণীই ভরসা। এই নিয়ে কোয়েসের তরফ থেকেও কোনও আপত্তি জানানো হয়নি। এমনকি প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড হিসেবেও কল্যাণীকে ব্যবহার করতে চেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ইতিমধ্যেই কল্যাণী পুরসভা থেকে নো অবজেকসন সার্টিফিকেট হাসিল করে ফেলেছে ।
ইস্টবেঙ্গলের দেখাদেখি মোহনবাগানও এবার খরচ কমাতে উদ্যোগী। ইস্টবেঙ্গলের মতো তাদের ১৫ লক্ষ টাকা না দিতে হলেও যুবভারতীতে ম্যাচ আয়োজনের আনুষঙ্গিক খরচও বিপুল। তাই তারাও ইতিমধ্যেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের কাছে এই নিয়ে আবেদন জানিয়েছে বলে খবর। কল্যাণী স্টেডিয়ামের মাঠ যেমন ভাল, তেমন আয়োজন প্রচেষ্টাতেও কমতি রাখেন না সেখানকার কর্তারা। সেই সঙ্গে কর্তাদের অমায়িক ব্যবহারে খুশি দুই প্রধানের কর্তা থেকে শুরু করে সাংবাদিকরাও। আই লিগের অধিকাংশ ম্যাচ এবার কল্যাণীতে হওয়ার খবরে খুশি কল্যাণী স্টেডিয়ামের শীর্ষকর্তা নিলিমেশ রায়চৌধুরীও। ‘এখানে ম্যাচ হলে বেশ ভালই হবে। আমরা সর্বত ভাবে সহযোগিতা করব।’