গোরক্ষকরা দলিত ও মুসলিমদের ওপরে হামলা চালাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের ওপরে নির্যাতন বাড়ছে। ভারতের উচিত সংখ্যালঘু ও দুর্বলতর শ্রেণির মানুষকে আইনি সুরক্ষা দেওয়া। কংগ্রেসের সাব কমিটিতে এমন বক্তব্য পেশ করেছেন এক প্রথম সারির মার্কিন কূটনীতিক। আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি থেকে যে ১৯ লক্ষ নাগরিক বাদ পড়েছেন, তাঁদের মানবাধিকার রক্ষা করার জন্যও ভারত সরকারের কাছে তিনি আর্জি জানিয়েছেন।
মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সংক্রান্ত বিভাগের সহকারী সচিব অ্যালিস জি ওয়েলস এক রিপোর্টে বলেন, ‘ভারতে সংখ্যালঘুদের আইনি সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্য ও নিপীড়ন চলছে। দলিত ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন গোরক্ষকদের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। ন’টি রাজ্যে ধর্মান্তরবিরোধী আইন আছে’। এরপর অ্যালিস বলেন, আমেরিকা আবেদন জানাচ্ছে, ভারত ধর্মীয় স্বাধীনতাকে রক্ষা করুক। তাঁর কথায়, আমরা চাই ভারতে দুর্বলতর শ্রেণির মানুষকে সরকার সুরক্ষা দিক। আসামে ১৯ লক্ষ মানুষের নাগরিকত্ব হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাঁদেরও অধিকার সুরক্ষিত রাখা দরকার। হিংসার প্রতিটি ঘটনাকে নিন্দা করা উচিত। যারা হিংসা ছড়ায়, তাদের শাস্তি দেওয়া দরকার।
গত লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ তুলে অ্যালিস বলেছেন, চলতি বছরের শুরুতে ভারতের ভোটারদের ৬৮ শতাংশ ঐতিহাসিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন ধর্ম, জাতপাত ও আর্থ সামাজিক প্রেক্ষিত থেকে আসা মানুষ ছিলেন। মহিলা ভোটাররা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন রেকর্ড সংখ্যায়। ভারতের নাগরিক সমাজ ও বিচারব্যবস্থার প্রশংসা করেছেন অ্যালিস। তাঁর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের নাগরিক সমাজ ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের আয়তন বিশাল। ভারতের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কেও একথা বলা যায়। যদিও আদালতগুলিতে উপযুক্ত সংখ্যক কর্মী নেই। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগী হতে পেরে আমেরিকা গর্বিত।