মোদী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর দিনই কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল যে এবার রেলের বেসরকারিকরণ করতে চলেছে মোদী সরকার। তারপরই সমস্ত জল্পনাকে সত্যি করে বাজেট পেশের দিনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, রেল এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণের পথেই হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। আর সম্প্রতি নীতি আয়োগের বৈঠকের পর তেজস এক্সপ্রেস-সহ ১৫০ টি ট্রেন ও ৫০টি স্টেশনের ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে ধেয়ে আসছে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া। এরই মধ্যে এবার রেলের ২৫ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বয়সের ভারে কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া কর্মীদের চিহ্নিত করার নির্দেশ রেল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে আগেই দিয়েছিলেন গোয়েল৷ এবার সেই নির্দেশের পুনরাবৃত্তি করেন তিনি৷
গোয়েল জানিয়েছেন, প্রয়োজন ছাড়া রেলে কর্মী নেওয়া আর হবে না৷ সেই সঙ্গে তিনি যাদবকে সাফ নির্দেশ দিয়েছেন, প্রয়োজনে ঠিকাভিত্তিতে রেলের প্রকল্প ধরে লোক নিয়োগ করার৷ বিশেষ করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ওপরেই কোপটা আগে পড়ার কথা ছিল৷ বাস্তবে হল তাই৷ রেলমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, এবার থেকে রেলের পিয়ন পদে বেশি লোক নেওয়া যাবে না৷ যার অর্থ রেলের আধিকারিকদের নিজেদের কাজ নিজেদেরই করতে হবে৷ এর ফলে রেলে নতুন করে চাকরি বিশ বাঁও জলে চলে গেল বলেই মনে করছেন খোদ রেলের পদস্থ আধিকারিকরাই৷ বিরোধীদের অভিযোগ, এভাবে সরকারি কর্মীদের ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে গোটা রেলের বেসরকারিকরণের পথই প্রশস্ত করতে চাইছে মোদী সরকার।