টেস্টে ইনিংস শুরু করার চ্যালেঞ্জটা তিনি দারুণ উপভোগ করছেন বলে জানিয়ে দিলেন রহিত শর্মা। ভারতের তারকা ব্যাটসম্যানটির মতে, এটা তাঁর কাছে কেরিয়ারের অন্যতম কঠিন এক পরীক্ষা ছিল। নতুন ভূমিকায় নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে পেরে দারুণ তৃপ্ত রহিত। নিশ্চিন্তও। কারণ টেস্টে ওপেন করার সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে ‘অনেক কিছুই ঘটতে পারত’ বলে সাফ মন্তব্য হিটম্যানের।
তিন টেস্টের সিরিজে ইতিমধ্যে দু’টি সেঞ্চুরি ও একটি ডাবল সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন ‘হিটম্যান’। রবিবার ২৫৫ বলে ২১২ রান করে ছুঁয়ে ফেলেছেন বীরেন্দ্র সহবাগ, ক্রিস গেল ও সচিন তেন্ডুলকরকে। তাঁদের সঙ্গে চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ান ডে ও টেস্ট ডাবল সেঞ্চুরির মালিক রোহিত।
ওপেনার হিসেবে শুরুটা দারুণ হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক পথ চলার বাকি। রোহিত বলে দিচ্ছেন, ‘সবে তো মাত্র তিনটে টেস্টে ওপেনার হিসেবে খেললাম। জানি, এখনও প্রচুর পথ যেতে হবে। এটা ঠিক, এই তিনটে টেস্টে থেকে অনেক কিছু ইতিবাচক দিক পেলাম। কিন্তু এটা সবে শুরু। আবার এটাও ঠিক যে, টেস্টে ছয়-সাত নম্বরে ব্যাট করা আর ওপেন করতে নামার মধ্যে অনেক তফাৎ। তার জন্য নিজেকে বোঝাতে হয়। নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি করতে হয়। তারপর মাঠে গিয়ে সেটা প্রয়োগ করতে হয়।’ রোহিত জুড়ে দিয়েছেন, ‘একটা ইনিংসের প্রথম বল থেকে খেলা আর তিরিশ-চল্লিশ ওভার হয়ে যাওয়ার পর খেলা, দুটোর মধ্যে অনেক তফাৎ। তবে দুটো ক্ষেত্রেই টেকিনকে আমূল কিছু বদল আমি করিনি।’
এখনও পর্যন্ত সিরিজে ৫২৯ রান করেছেন রোহিত। পঞ্চম ভারতীয় ওপেনার হিসেবে একই সিরিজে ৫০০-র উপর রান করার মালিক তিনি। ওপেনার হিসেবে অভিষেক সিরিজে কী করে এত রেকর্ড গড়লেন? রোহিতের উত্তর, ‘‘আগেই বলেছি, সিরিজ শুরু হওয়ার আগে থেকেই মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে অনেক দিন আগেই আমার ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কথা হয়েছে। এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম। সেটাই এখন কাজে লাগাচ্ছি।’’
প্রথম দিন ১৫.৩ ওভারের মধ্যে ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৩৯-৩। সেখান থেকে এ ধরনের ইনিংস খেলা কত বড় চ্যালেঞ্জ? রোহিতের প্রতিক্রিয়া, ‘‘প্রচণ্ড বড় পরীক্ষা ছিল আমার কাছে। কারণ, বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আমার নেই। মাত্র ৩০টি টেস্ট খেলেছি এখনও পর্যন্ত। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এ ধরনের ইনিংস খেলা আমার কাছে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।’’