নিখোঁজ থাকার তিনদিন পর আজ সকালে দুবরাজপুর থেকে উদ্ধার হল সিপিএম নেতার টুকরো টুকরো দেহাংশ। সিপিএম নেতাকে টুকরো করে কেটে কিছুটা অংশ ফেলে দেওয়া হয় জয়দেব নদীতে। বাকিটা পুঁতে ফেলা হয় মাটিতে। শুক্রবার সকালে নানুরের বাঁশপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে বোলপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সূচপুর গণহত্যার অন্যতম অভিযুক্ত তথা সিপিএম নেতা সুভাষচন্দ্র দে। সেখানের কাজ সেরে এলআইসি এজেন্ট শেখ নাসিরের সঙ্গে ইলামবাজার যান তিনি। রাত ৮টা নাগাদ শেষবার স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় তাঁর। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই সিপিএম নেতা।
এলাকা জুড়ে খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁকে না পাওয়ায় তাঁর পরিবারের তরফে নানুর থানায় গোটা বিষয়টি জানানো হয়। তদন্ত শুরুর পর শনিবার এলাকার একটি কলেজের সামনে থেকে উদ্ধার হয় সুভাষবাবুর মোটরবাইক। এরপর সিপিএম নেতার মোবাইল টাওয়ার ট্র্যাক করে তদন্তকারীরা। এরপরই মতিয়ুর নামে এক যুবকের নাম হাতে আসে পুলিশের।তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। ক্রমাগত জেরায় ভেঙে পড়ে ওই যুবক। পুলিশের দাবি ওই যুবক জানিয়েছে, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সুভাষবাবুর। শুক্রবার রাতে বাড়ি ফিরে সে দেখে তার স্ত্রীর সঙ্গে বসে রয়েছেন সুভাষবাবু। বিষয়টি নজরে পড়তেই লোহার রড দিয়ে সিপিএম নেতাকে আঘাত করে মতিয়ুর। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ টুকরো করা হয়। টুকরোগুলি বস্তায় ভরে সুভাষবাবুর বাইক নিয়েই একটি ব্যাগ অজয় নদীতে ফেলে দিয়ে আসে মতিয়ুর। অন্যটি ফেলে বাঁশবাগানে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ওই যুবক ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, যুবকের বয়ানের ভিত্তিতেই দেহাংশ উদ্ধারের জন্য সোমবার নদীতে তল্লাশি চালানো হবে।
উল্লেখ্য, নানুরের সুচপুর গণহত্যা কাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত ছিলেন সুভাষবাবু। পরে অবশ্য হাইকোর্ট থেকে বেকসুর খালাস পান তিনি। তারপর থেকে গ্রামেই ছিলেন। ২০০০ সালের ২৭ জুলাই নানুরের সুচপুরে খুন হয়েছিলেন ১১ জন।