আসামে এনআরসি হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছে বাংলার মানুষজন। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস মেলার পরও, সাধারণ মানুষের মন থেকে সেই আতঙ্ক কাটেনি। যার ফলে সীমান্তবর্তী এলাকার বেশ কিছু মানুষজন এই এনআরসির আতঙ্কে প্রাণ হারিয়েছেন। এবার সেই আতঙ্কেই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ল। মালদহের বাসিন্দা ধীরু কুণ্ডু (৬২) বেশ কিছুদিন ধরেই এনআরসি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। জন্ম ওপার বাংলায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বাংলায় আসা ধীরু বাবুর চিন্তা ছিল, এনআরসি হলে আদৌ কি থাকতে পারবেন আর এদেশে? নাকি যেতে হবে কোনও ডিটেনশন ক্যাম্পে?
এই চিন্তাতেই মগ্ন হয়ে ছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে খাওয়াদাওয়াও ঠিকঠাক করছিলেন না। অবশেষে সোমবার হার্ট অ্যাটাক হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের মানুষজন শোকের এই সময় এনআরসি নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য আগেই বলেছেন, ‘ভোটাধিকার থাকা মানেই নাগরিক। আমরা আপনাদের পাহারাদার। সকলের বাংলায় থাকার অধিকার আছে। বাংলা থেকে কাউকে যেতে হবে না। বাংলা শান্তি চায়। ইতিবাচক হোন, সবাই ভালো থাকুন।’
এনআরসি আতঙ্কে এই বাংলায় মৃত্যু অবশ্য প্রথম নয়। বিশেষত সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলায় ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। শুধু বসিরহাটেই মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, বিজেপির হুমকি আর এনআরসির আতঙ্কে ভেসে দুশ্চিন্তার প্রহর গুনছেন বাংলার গরীব সাধারণ জনগণ।