দ্বিতীয় বিয়ে বিদেশিনীকে করলেই নোবেল পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সেই নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। কিন্তু সেই কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য থেকে তিনি যে একচুলও সরছেন না, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাহুল সিনহা। বললেন, ‘এই মন্তব্য প্রত্যাহার করছি না। যা ঘটনা সেটাই বলেছি। উল্টে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে রাহুল সিনহা বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ তাঁর চিন্তাকে বরখাস্ত করেছে। ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। তাঁর ভাবনার কোনও মূল্য নেই, প্রমাণ হয়ে গেছে’।
এখানেই শেষ নয়, অভিজিতের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও রীতিমতো প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাহুল সিনহা। তাঁর কথায়, ‘নোবেল পাওয়ার আগে এবং পরে যেভাবে অভিজিৎ রাজনীতি করছেন, তা উচিত নয়। তিনি অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে অন্যায় কথা বলছেন। বলার আগে একটা গ্রামে ওনার অর্থনীতির কাজ করে দেখান, তাহলে বুঝব।’ সরাসরিই রাহুল সিনহার আক্রমণ, ‘অর্থনীতি ছেড়ে রাজনীতির ঝান্ডা ধরুন অভিজিৎ’।
অমর্ত্য সেনের পর এবার আরও এক নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে নোংরা খেলায় মেতেছে বিজেপি। অভিজিত্ বাঙালি না মারাঠি, সেই বিষয়ে অকারণ প্রশ্ন তুলেছিলেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। অন্যদিকে অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধিশুদ্ধি নিয়েই প্রশ্ন তুলে দেন কেন্দ্রীয় রেল ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুশ গোয়েল। তিনি বলেন, ‘অভিজিত্ কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পের অনেক গুণগান করেছিলেন। কিন্তু দেশবাসী সেই ন্যায় প্রকল্পকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায় অভিজিতের বোধবুদ্ধি কোন স্তরের।’ তবে সবাইকে ছাপিয়ে এখন অভিজিতকে আক্রমণে এগিয়ে রয়েছেন রাহুল সিনহা।