বৌদ্ধস্তূপের মাথায় উঠে ফটোশুট করাতে গিয়ে বিপাকে ভারতীয় পর্যটক। ইতিমধ্যেই পুলিশ তাকে আটক করেছে। ভারতীয় যুবকের ছবি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। তারপর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। এভাবে ফটোশুট করে বৌদ্ধস্তূপের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলেই দাবি তাঁদের।
ভুটানের অন্যতম সৌধ হল দোচু লা স্তূপ। তাতেই চড়েছিলেন অভিজিৎ রতন হাজারে। থিম্পু পুলিশ জানাচ্ছে, ১৫ জনের বাইকার দলটি ভারত থেকে এসে ভুটানের বিভিন্ন এলাকা ঘুরছে। তারা পুনাখা যাওয়ার পথে দোচু লা স্তূপের কাছে পৌঁছায়। অভিযোগ, সেখানে পৌঁছেই স্তূপে উঠে পড়ে অভিজিৎ রতন হাজারে। থিম্পুর সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, দোচু লা স্তূপে তখন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। কর্মীরা ওই ভারতীয় দলটিকে স্তূপে চড়তে নিষেধ করেন। কিন্তু কেউ সেকথা শোনেনি। বন্ধুদের উস্কানিতে অভিজিৎ একটি স্তূপের উপরে উঠে ছবি তোলেন। এদিকে স্তূপের কর্মীরাও নিজেদের মোবাইলে পুরো ঘটনা রেকর্ড করেন। কিছু পরেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায় ভুটানে। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতেও তীব্র সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। তদন্তে নামে রয়্যাল ভুটান পুলিশ। আটক করা হয় অভিজিৎ রতন হাজারে-কে।
সূত্রের খবর, একটি হোটেলে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে ওই যুবক। সে জানিয়েছে, “শুধুমাত্র প্রকৃতির টানে বাইকে চড়ে ভুটানে বেড়াতে গিয়েছিলাম। দোচুলা পার্কে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া হয়। তখন আশেপাশের দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। কিছু বুঝে ওঠার আগে আমি বৌদ্ধস্তূপের ছাদে উঠে পরি। যদি বুঝতাম ওটা বৌদ্ধস্তূপ, তাহলে জুতো পায়ে কোনওভাবেই উঠতাম না। ফটোশুটও করতাম না। তাহলে তার আশেপাশে দাঁড়িয়েই ছবি তুলতাম। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না আমার। আমি ক্ষমা চাইছি।” লিখিত মুচলেকা জমা দেওয়ার পরই পুলিশ অভিজিৎকে ছেড়ে দেয়। তবে ভারতীয় পর্যটকের এহেন আচরণকে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না ভুটানের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। অভিজিৎ যে কাজ করেছে, তার কোনও ক্ষমা হয় না বলেই দাবি তাঁদের।