নিমতায় দেবাঞ্জন হত্যাকাণ্ডে একজনকে গ্রেফতার পুলিশ। ধৃতের নাম বিশাল মারু। পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেক সেক্টর ফাইভের যে পাবে নবমীর রাতে দেবাঞ্জন ও তাঁর বান্ধবী ছিলেন সেই পাবের সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখান থেকে বিশাল মারুকেও দেখা যায়। নিহতের বান্ধবীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে বিশাল মারুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবারই বিশালকে আটক করে পুলিশ। সূত্রের খবর, এরপর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের পরই পুলিশের জালে জড়িয়ে পড়ে বিশাল। জানা গিয়েছে, এফআইআর-এ ২০ জনের নামের তালিকায় বিশালেরও নাম ছিল। নবমী রাতের পার্টিতেও উপস্থিত ছিল সে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান খুনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে আরও ৩, ৪ জন। মনে করা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে একজন তরুণীও রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এফআইআরে প্রিন্স সিংহ, তৃষা সরকার-সহ আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন দেবাঞ্জনের বাবা অরুণ দাস। তাঁদের মধ্যে রয়েছে বিশাল মারুর-ও নাম। এফআইআরে অভিযুক্ত বাকি দু’জনের নাম শ্যাম ও অনুষ্কা। অরুণবাবুর দাবি, দেবাঞ্জনের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পেরেছেন নবমীর রাতে শ্যাম, অনুষ্কা, বিশাল— তাঁরা সবাই দেবাঞ্জনের সঙ্গে ছিল। পুলিশ ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জনের প্রেমিকা তৃষাকে জেরা করে জানতে পেরেছে— নবমীর রাতে দেবাঞ্জন এবং তিনি সল্টলেক সেক্টর ফাইভের প্রিচ নামে একটি পানশালায় গিয়েছিলেন। সেখানে বাকিরাও ছিলেন। সূত্রের খবর, জেরায় তৃষা এবং দেবাঞ্জনের অন্য বন্ধুরা জানিয়েছেন, ওই রাতে ওই পানশালায় দেবাঞ্জনের যাওয়ার কথা ছিল না। পরিকল্পনা করে তাঁকে ডাকেন দেবাঞ্জনেরই এক বন্ধু। সূত্রের খবর, ওই বন্ধু নবমীর রাতে দেবাঞ্জনকে ফোন করে তাঁদের এক বন্ধু এবং বান্ধবী সম্পর্কে কিছু কথা বলেন। এবং সেই সংক্রান্ত সমস্যা সামলানোর জন্যই না কি দেবাঞ্জনকে ওই পানশালায় যেতে বলেন। পুলিশের অনুমান, দেবাঞ্জনের গতিবিধির উপর নজর রাখা এবং সেই অনুযায়ী সুযোগ বুঝে খুন করার জন্যই পরিকল্পনা করে তাঁকে ডাকা হয়েছিল ওই পানশালায়।