মন্দার কোপে প্রায় বসেই গেছে দেশের গাড়ি শিল্পের চাকা। চাহিদা যত কমেছে, ততোটাই কমেছে বিক্রি। ফলে উৎপাদন বন্ধ করতেও বাধ্য হয়েছে বহু গাড়ি কোম্পানি। তবে ডিলার সংস্থাগুলির আশা ছিল, অন্তত উৎসবের মরসুমের মুখে ক্রেতা কিছুটা বাড়বে। কিন্তু পূরণ হল না সেই আশা। তাদের সংগঠন ফাডা জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সব ধরনের গাড়ি বিক্রি কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ।
নির্মাতা সংস্থাগুলি ডিলারদের যত গাড়ি বেচে (অর্থাৎ পাইকারি ব্যবসা) তার তুলনায় ক’টি শোরুম থেকে বিক্রি হল, সেই হিসেব ব্যবসার আসল ছবিটা তুলে ধরে। ফাডা জানিয়েছে, তিন চাকা ছাড়া বাকি সব ধরনের গাড়ির বিক্রিই গত মাসে কমেছে। ফলে পরিস্থিতি এমনই যে ক্রেতার অভাবে এখন শো-রুমে ডাঁই হচ্ছে অবিক্রীত গাড়ি।
বিক্রি ধাক্কা খাওয়ায় ইতিমধ্যেই বহু শো-রুমের ঝাঁপ বন্ধ করতে হয়েছে। কাজও খুইয়েছেন অনেক কর্মী। আবার গাড়ি বিক্রি কমায় চাহিদা মার খেয়েছে ইস্পাতেরও। সংবাদ সংস্থার খবর, টাটা স্টিল তাদের তারাপুরের কারখানায় উৎপাদন কমিয়েছে ১৫ শতাংশ। সেখানে তৈরি ইস্পাতের ৩০ শতাংশ কেনে গাড়ি সংস্থাগুলি।
শুক্রবার ফাডা জানায়, সার্বিক যাত্রী গাড়ির (যাত্রী গাড়ি, ইউভি ও ভ্যান) শো-রুমে ২১ দিন পড়ে থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু তা এখন পৌঁছেছে গড়ে ৩০-৩৫ দিনে। প্রায় ৬০-৬৫ দিন পড়ে থাকছে দু’চাকা, বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে কম করে ৫০-৫৫ দিন। ডিলারদের দাবি, এর থেকে পরিষ্কার চাহিদা নেই। তাঁদের প্রশ্ন, গাড়ি শিল্প-সহ অর্থনীতিতে চাহিদা বাড়াতে কেন্দ্রের ঘোষিত একের পর এক পদক্ষেপগুলি সুফল দিতে শুরু করবে কবে? উৎসবের মরসুম বিদায় নেওয়ার আগে সেটা সম্ভব কি?