আগে মসলিনের দাপট ছিল ব্যাপক। তবে নব্য প্রযুক্তি ও সময়ের সঙ্গে অসম লড়াইয়ে সেসব আজ অতীত। ফলস্বরূপ, বলতে গেলে এখন কার্যত ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই হয়েছে মসলিনের। তবে এবার সেই মসলিনের উপর সদয় হল রাজ্যসরকার। অতীতের আভিজাত্য পূর্ণ সেই মসলিন শিল্প ও শিল্পীদের বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। পরিকল্পনা করা হচ্ছে রাজ্যে মসলিন গ্রাম তৈরী করার।
রাজ্য সরকার চাইছে মসলিন শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও কর্মসংস্থান। তাঁতশিল্পীরা যাতে ফের মসলিন কাপড় তৈরী করে লাভের মুখ দেখেন সেই চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার।
এবার এই শিল্পকে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বর্ধমানের কালনা ২ ব্লকের আনুখাল অঞ্চলের কাজিপাড়া গ্রামে ক্লাস্টারের মাধ্যমে শিল্পীরা শাড়ি তৈরী করছেন। সেগুলি বিশ্ববাংলা বিপণন কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রীর ব্যবস্থাও করেছে রাজ্য সরকার। তৈরী হয়েছে কালনা মসলিন সেন্টার। চরকা প্রদান, সুতো কাটা, তাঁত বোনার ঘর তৈরীতে সাহায্য করছে সরকার।
বিশেষ এক প্রকারের তুলোর আঁশ থেকে প্রস্তুতকারক সুতো দিয়ে বোনা হয় সূক্ষ্ম কাপড়। চরকায় সুতো কেটে হাতে বোনা হয় মসলিন শাড়ি। মসলিন তাঁত শিল্পীদের এক সময় বিশেষ কদর ছিল বাংলায়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে মসলিন শিল্প ও শিল্পীরাও হারিয়ে যেতে থাকে রাজ্য থেকে।