বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে গেরুয়া সংস্কৃতির আমদানি করতে চাইছে বিজেপি। এমন অভিযোগ বারবারই করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং তাঁর এই অভিযোগ যে আদৌ ভ্রান্ত নয়, লোকসভা ভোটের সময় থেকেই একাধিক বার মিলেছে তার প্রমাণ। কখনও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান, তো কখনও আবার গুজরাত, হরিয়ানা বা রাজস্থানের মতো এই রাজ্যের বাসিন্দাদেরও নিরামিষভোজন শুরুর নিদান দেওয়া, নানা ভাবেই বাংলার নিজস্ব রীতিনীতি ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। এবার আরও উস্কে উঠল এই জল্পনা। আরও প্রকট হল বিজেপির বাঙালি বিদ্বেষ। দিল্লীর বিখ্যাত মাছ বাজার ভেঙে দিল বিজেপির পুরবোর্ড।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে এই ঘটনার পর থেকে প্রবলভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, বিজেপির নিশানায় কি তবে প্রবলভাবেই রয়েছে মাছপ্রিয় বাঙালির খাদ্যাভ্যাস? গত মঙ্গলবার বাঙালির সেই ‘মাচ্ছি বাজার’ই আক্রান্ত হল। ভাঙচুর করা হল মাছের দোকানগুলিতে। এমনকী সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হয় অস্থায়ী দোকানগুলিও। আলো নেই, ব্যবসার জন্যে বসতেই পারছেন না দোকানিরা। স্বাভাবিক কারণেই বাজার করতে পারছেন না রাজধানীর বহু মাছপ্রিয় বাঙালি। দোকানদাররাও প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন।
দিল্লীর বাঙালিদের কাছে অতিপরিচিত কালকাজির মাছবাজার বা ‘মাচ্ছি মার্কেট’। ব্যবসায়ী ও ক্রেতা- সকলেই বাঙালি। ফলে দেখে মনে হবে যেন কলকাতার কোনও বাঙালি অধ্যুষিত বাজার। বিশেষত সন্ধ্যেবেলা গমগম করে বাঙালি আর বাংলা ভাষায়। একদিকে যেমন মাছের বাজার, উলটোদিকে তেমনি সারি দিয়ে সবজির বাজারও। যেভাবে এখানে হামলা করা হল তাতে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে এবার কি তবে বিজেপির নিশানায় বাঙালির খাদ্যাভ্যাস??