দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্ত সরকারি অফিসের সময় বদলানোর পাশাপাশি দিল্লীর রাস্তায় জোড়-বিজোড় পরিবহণ নীতি ফেরানোরও পরিকল্পনা নিয়েছেন কেজরিওয়াল। অফিসের সময় বদলানো বা জোড়-বিজোড় নীতি কোনওটাই নতুন নয়। ২০১৬ সালে দিল্লীতে বায়ুদূষণ প্রবল ভাবে বেড়ে যাওয়ায় প্রথম বার জোড়-বিজোড় নীতি হাতে নিয়েছিল কেজরীওয়াল সরকার।কিন্তু এত কিছু করেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি দিল্লীর দূষণ। বরং গত কয়েকদিন ধরেই বায়ুমানের সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স (একিউএল) ক্রমশ নীচের দিকে চলেছে। এই অবস্থায় দূষণের ক্ষতি এড়াতে দিল্লীর সমস্ত অফিসের সময় বদলানোর পরিকল্পনা নিয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার।
আগের বারেও বন্ধ রাখা হয়েছিল সব রকম নির্মাণ কাজ, কয়লানির্ভর শিল্প ও কল-কারখানা। ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে গণ পরিবহণ ব্যবহারের আর্জি জানানো হয়েছিল। তার জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সব রকম গণ পরিবহণের সংখ্যা। অতিরিক্ত ট্রেন ও মেট্রো চালানো হয়েছিল। এ বারেও পরিস্থিতি বুঝে সেই ব্যবস্থা নিতে পারে দিল্লী সরকার।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দিল্লির কনট প্লেসে একিউএল ৩৯১ মাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছে। একিউএল ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে তা ভাল হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সন্তোষজনক, ১০১ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘মডারেট’, ২০১ থেকে ৩০০ পর্যন্ত ‘খারাপ’ , ৩০১ থেকে ৪০০ পর্যন্ত ‘খুব খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত ‘বিপজ্জনক’ । কনট প্লেসে একিউএল -এর কাঁটা ৩৯১ ছুঁয়েছে, যার অর্থ দূষণের মাত্রা অত্যন্ত বেশি।