গঙ্গার পশ্চিম তীরে রয়েছে রিষড়া, যে সময়ের কথা লিখছি, তখন এটি ছিল একটি গ্রাম। আজ থেকে একশো বছরেরও আগে গ্রামটি ছিল জনবিরল, বন-জঙ্গলে ভর্তি। গঙ্গার পাড় ছিল পাহাড়ের ন্যায় উঁচু। সংকীর্ণ পথ দিয়ে লোকেরা গঙ্গাস্নানে আসত, যেত – নৌকায় করে নানা দিকে যাতায়াত করত। সেই সময়ের রিষড়া গ্রামে বাস ছিল এক ভয়ানক ডাকাতের। তাঁর নাম ছিল বিশ্বনাথ ডোম।

বিশ্বনাথ ডোম ছিল দীর্ঘকায়, হাড়ে-মাসে জড়িত সবল পুরুষ, গায়ের রং ছিল ঘোর কৃষ্ণবর্ণ। লাঠি-তলোয়ার চালাতে এবং নিখুঁত লক্ষে বর্শা ছুঁড়তে সে ছিল অত্যন্ত দক্ষ। তাঁর ছিল মাথা ভর্তি কাঁচা-পাকা ঝাঁকড়া চুল, বাহুতে থাকত একখানি সোনার বাজু, দুই হাতে থাকত সোনার বালা, আর গলায় একখানা সোনার হার। সমগ্র হুগলি, নবদ্বীপ, বর্ধমান ও কলকাতার অধিবাসীরা তাঁর নামে ভয়ে ভীত ও সন্ত্রস্ত থাকত। বিশ্বনাথের সুগম্ভীর কর্কশ কন্ঠস্বর, মদ্য পানের জন্য জবা ফুলের ন্যায় লাল রক্তবর্ণ চোখ, হা-রে-রে চিৎকার ও নিত্য-নতুন উপদ্রবের জন্য প্রায় সকলে তাঁকে যমের মতন ভয় করত। প্রায় সকলে এর জন্য বললাম যে, তাঁকে গরিব-দুঃখী মানুষ অতটা ভয় পেত না। না পাবার কারণও অবশ্য ছিল। সেই কারণটি হল, ডাকাত বিশ্বনাথ ডোম কখনও কোনও দীন-দরিদ্রের ওপরে কোনও অত্যাচার-উৎপীড়ন করত না, ডাকাত হয়েও এটা ছিল তাঁর চরিত্রের একটা বিশেষ গুণ। এরজন্য দরিদ্ররা তাঁকে সম্ভ্রমের চোখে দেখলেও, ভয় বিশেষ পেত না। অনেক সময় গোপনে সে দীন-দরিদ্রদের সাহায্যও করত।
একবার নবদ্বীপের কাছাকাছি একটা গ্রামে ওলাওঠার অত্যন্ত উপদ্রব শুরু হয়। সেই গ্রামের পাশেরই আরেক গ্রামের এক ধনী গোয়ালার বাড়ি লুঠ করে ফিরছিল বিশ্বনাথ আর তাঁর দল। ফেরত আসার পথ ছিল ঐ ওলাওঠায় আক্রান্ত গ্রামের ওপর দিয়েই। বিশ্বনাথ দেখলো যে, সেই গ্রাম একপ্রকার জনশূন্য হয়ে গিয়েছে, ঘরে ঘরে মৃত্যুর হাহাকার। গ্রামের লোকে মড়কে মরছে, তাঁদের সেবা-শুশ্রূষা ও চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা নেই। গ্রামের মানুষের এত টাকা নেই যে শহরের কোনও ডাক্তার কে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসবে, ফলে বিনা চিকিৎসায় সব লোক মরছে। গ্রামের এক বাড়িতে খুব কান্নাকাটি চলছিল – এক বৃদ্ধার একমাত্র সম্বল একমাত্র নাতির ওলাওঠা হয়েছিল। শহরের এক ডাক্তার সেই গ্রামের সেই বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে পাল্কি চড়ে যাচ্ছিলেন, গ্রামের চৌধুরী জমিদারের বাড়িতে চিকিৎসা করতে। বৃদ্ধা গিয়ে ডাক্তারের পাল্কির পথ আগলে রেখে ডাক্তার কে অনুরোধ করলো তাঁর নাতিকে একবার দেখে যাবার জন্য। ভীষণ বিরক্ত হয়ে ডাক্তার বৃদ্ধার ওপরে গর্জে উঠলেন, বললেন, ‘যা যা, আমার সময় নেই। টাকা দিতে পারবি? দশ টাকা দিতে হবে। আগে টাকা নিয়ে আয়।’ বৃদ্ধা করুন স্বরে মিনতি করলেন যে তাঁর কাছে তো টাকা নেই, কিন্তু ডাক্তারবাবু যদি একবার একটু করুণা করেন তো তাঁর একমাত্র সম্বল তাঁর নাতির প্রাণ বাঁচে। ডাক্তার মুখ ভেংচে বৃদ্ধা কে কয়েক গালি দিয়ে পাল্কি তোলার নির্দেশ দিলেন। বৃদ্ধার বাড়ির ভেতর থেকে তাঁর নাতির করুন কণ্ঠে আর্তনাদ ভেসে আসছিল। সেই সময়ে বিশ্বনাথ ডোম, তাঁর দল নিয়ে গঙ্গার দিকে তাঁর নৌকায় ও ছিপে ফিরছিল। সে বৃদ্ধার করুন প্রার্থনা ও ডাক্তারের উত্তর দুটোই শুনতে পেয়েছিল। বিশ্বনাথ ওমনি তাঁর দলের লোকেদের হুকুম করলো, ‘ডাক্তারের পাল্কি ধর। যেতে দিবি নি!’ মুহূর্তে তাঁর সঙ্গীরা তাঁর আদেশ পালন করল। ডাক্তারের কাছে এসে চিৎকার করে বিশ্বনাথ বললো, ‘পাল্কি থেকে নাম ডাক্তার। যদি বুড়ির নাতিকে ভালো করে দিতে না পারিস – তাহলে তোকে মেরে লাশ ভাসিয়ে দেব নদীর জলে – আর বুড়ির নাতি ভালো হলে তোকে পঞ্চাশ টাকা দেব।’ ডাক্তার কি যেন বলতে গিয়েছিল, বিশ্বনাথ তাঁর হাতের লাঠিটা তাঁর সামনে মাটিতে সজোরে ঠুকে বললো, ‘সাবধান ডাক্তার! জানিস আমি কে?’ হুঙ্কার শুনে ডাক্তারের রক্ত জল হয়ে গেল, সে ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বললো, ‘জানিনা তো’। বিশ্বনাথ আরও গম্ভীর গলায় বলল, ‘তবে শোন, আমার নাম বিশ্বনাথ ডোম। আমার বাড়ি রিষড়া। আমি বিশ্বনাথ ডাকাত।’ এটা শোনার পরে ডাক্তার আর কোনও কথা না বাড়িয়ে, নিজের ওষুধের বাক্স হাতে নিয়ে পাল্কি থেকে নেমে সোজা বৃদ্ধার ঘরে প্রবেশ করলো তাঁর নাতির চিকিৎসা করার জন্য। বিশ্বনাথ সেখানে তাঁর দলের কয়েকজন লোককে মোতায়েন রেখে তাঁদের আদেশ দিয়ে গেল যে, তাঁরা যেন বাড়ি পাহারা দেয় আর বৃদ্ধার নাতির ভালো-মন্দ যেটাই ঘটুক না কেন, তাঁকে যেন তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয়। সে নিজে বাকিদের সাথে নিয়ে আরও লোক জোগাড় করে এনে গ্রামে পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো সৎকার করার ব্যবস্থা করতে চলে গেল। বৃদ্ধা ও তাঁর নাতি, উভয়েরই ভাগ্য ভাল ছিল, বৃদ্ধার নাতি আরোগ্য লাভ করলো। অবশ্য বিশ্বনাথ এতেই ক্ষান্ত হল না, সে ডাক্তার কে প্রতিশ্রুতি মতন পঞ্চাশ টাকা দিয়ে বললো, ‘এ গ্রামে যারা এখন রোগে ভুগচে, তাঁদের তুই ভালো করে দিয়ে তবে যেতে পারবি। টাকার জন্য ভাবিস নি! জমিদার বেটা যে টাকা দিত তার দশগুণ টাকা আমি তোকে দেব।’ ডাক্তার আর কি করেন! লোকটি যে কথার খেলাপি করে না সেটা তিনি দেখেছেন আর ওদিকে প্রাণভয়ও আছে। তাই তাঁর আদেশ পালন করতে প্রবৃত্ত হলেন। ওদিকে বৃদ্ধা তো বিশ্বনাথ ডাকাত কে দেবতা ভেবে বসেছিলেন, কিন্তু যখন তিনি বিশ্বনাথের মুখে শুনলেন, ‘আমি দেবতার যম। বিশ্বনাথ ডোম। রিষড়ার বিশ্বনাথ ডাকাত’, তখন প্রায় মূর্ছা গিয়েছিলেন। বিশ্বনাথ তাঁকে অভয় দিয়ে বলেছিল, ‘কোনও ভয় নেই মা। বিপদে পড়লে মনে করিস তোর এই ডাকাত ছেলে কে।’ গরিবের প্রতি তাঁর এই সদয় ব্যবহারের জন্য অনেকেই তাঁকে ভালোবাসত।
কিন্তু ভাগ্য সম্ভবতঃ বিশ্বনাথ ডাকাতের ওপরে সদয় ছিল না, তাই অবশেষে একদিন সে ধরা পড়ে। একবার সে হুগলি জেলার এক ধনী জমিদারের বাড়িতে ডাকাতি করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল। এই জমিদার তাঁর প্রজাদের ওপরে ভীষণ অত্যাচার করতেন এবং নিজেও দুর্দান্ত স্বভাবের ছিলেন। নীলকর সাহেবদের সাথে তাঁর খুবই সম্প্রীতি ছিল। সাহেবদের সাথে তাঁর নিজেরও নীলের আবাদ ছিল, অর্থাৎ তিনি প্ৰজাদের দাদন দিয়ে নীলের চাষ করাতেন। তিনি নীলখালাসীদের পাঠিয়ে নিজের আবাদ সম্বন্ধে তত্বাবধান করাতেন। নিড়ানির সময়, অর্থাৎ নীল গাছগুলো ছোট থাকার অবস্থায় ক্ষেতের জঙ্গল দূর করার সময়ে দাদন দেওয়া চাষিদের কাজে সামান্য ত্রুটি হলে, তিনি আমিন ও নায়েবকে দিয়ে তাঁদের ওপরে তুমুল অত্যাচার করাতেন। এই জমিদার ছিলেন খুবই ধনী। তাঁর নিজের বাড়ির নিরাপত্তার জন্য ভোজপুরী দারোয়ান নিযুক্ত ছিল। বিশ্বনাথের দলের লোকেরা ওই জমিদার বাড়িতে ডাকাতি করতে তাঁকে অনুরোধ করলো আর বিশ্বনাথ তাতে সম্মত হল। সেকালের ডাকাতদের নিয়ম মতন বিশ্বনাথ জমিদার কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিল যে এক সপ্তাহের মধ্যে সে জমিদারের বাড়িতে ডাকাতি করতে উপস্থিত হবে। জমিদার এই চিঠি পেয়েই হুগলি জেলার সদর শ্রীরামপুরে লোক পাঠালেন, জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট কে সব কথা জানিয়ে তাঁকে ডাকাতের হাত থেকে রক্ষা করার অনুরোধ করলেন।
বকল্যান্ড বলে এক সাহেব সেই সময়ে শ্রীরামপুরের জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি সংবাদ পেয়ে সশস্ত্র সেপাই-সন্ত্রী, দারোগা-কনস্টেবল প্রভৃতি সহ সেই জমিদার বাড়ি যাবার সব রাস্তা-জলপথ আগলে রাখলেন। বিশ্বনাথ এই খবর পেয়েও প্রায় দুশো জনের একটা দল নিয়ে ডাকাতি করতে চলল। বকল্যান্ড সাহেবও চর মারফৎ বিশ্বনাথের আগমনের খবর পেয়ে কোমরে তলোয়ার নিয়ে, বন্দুক ঝুলিয়ে, ঘোড়া ছুটিয়ে সদলবলে বিশ্বনাথ কে ধরতে ছুটলেন। জলপথে-স্থলপথে ডাকাতের সন্ধানে লোক পাঠিয়ে দিলেন। অল্পদুরে একটা গ্রামের প্রান্তে দুই দলের সাক্ষাৎ হল এবং মুখোমুখি সংঘর্ষ বেঁধে গেল। তুমুল লড়াই হল। উভয় পক্ষের প্রচুর হতাহত হল। অবশেষে কোম্পানির ফৌজের কাছে ডাকাতরা হার মানল। ডাকাত বিশ্বনাথ ডোম ধরা পড়লো বকল্যান্ড সাহেবের হাতে। বিশ্বনাথের দলের লোকেরা অনেকে পালালো, আবার অনেকে ধরা পড়লো। যাঁরা পালালো, তাঁদের পিছনে পুলিশ-সেপাই ছুটলো। ধরা পড়ার পরে ডাকাত বিশ্বনাথ ডোম কে হুগলি জেলে বন্দি করা হল। সে ধরা পড়ার পরে চারিদিকে ধনীদের মধ্যে একটা আনন্দের সাড়া পড়ে গিয়েছিল। গরিবরা অবশ্য এই খবরে মোটেও খুশি হয় নি। রিষড়া তে তাঁর বাড়ি এটা প্রশাসন জানলেও, তাঁর বাড়ির সন্ধান প্রশাসন কোনও দিন পায় নি। তাঁর পরিবারের কোনও খবরও পাওয়া যায় নি। সে যে কত নরহত্যা করেছিল, কত ধনী-সম্ভ্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি লুঠ করেছিল, সেগুলোর কোনও সঠিক পরিসংখ্যান ছিল না। বিচারে তাঁর অপরাধ প্রমাণিত হল এবং একদিন হুগলি জেলে তাঁকে ফাঁসি তে ঝুলিয়ে দেওয়া হল।
বকল্যান্ড সাহেব বিশ্বনাথ ডাকাত কে ধরার পরে, ‘সমাচার দর্পণ’ পত্রিকায় বকল্যান্ড সাহেব কে উদ্দেশ্য করে একজন জনৈক ধনী ব্যক্তির একখানা চিঠি প্রকাশিত হয়েছিল। সেটাতে ধনীদের ওপরে বিশ্বনাথ ডোমের অত্যাচার ও উৎপীড়নের কথা এবং সে যে কি সাংঘাতিক ডাকাত ছিল, সেটার পরিচয় পাওয়া যায়। সেই চিঠিটা ছিল নিম্নরূপ –
“সত্যপরায়ণ শ্রীযুত প্রকাশক মহোদয়েষু,
নিম্নস্থিত কতিপয় পংক্তি সংশোধন পূর্বক দর্পণে স্থানার্পনে পরম বাধিত করিবেন।
শ্রীযুক্ত বকল্যান্ড সাহেব,
অখন্ড প্রচন্ড মার্তন্ডবৎ দোর্দণ্ড প্রতাপান্বিত দেশহৈতিষী সদগুণরাশি বিপুলসাহসী দস্যুদ্বেষী অনুগতপোষী সুবিজ্ঞ সুচতুর শ্রীযুক্ত জাইন্ট ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব মহোদয় শ্রীরামপুর সহরে উদয় হওনান্তর আমরা আনন্দসাগরে নিমগ্ন হইয়া উচ্চঃস্বরে মুক্তকণ্ঠে অনবরত ধন্য ধন্য করিতেছি এবং ভবদীয় গুণকীর্তনে আস্মাদাদির রসনা নিরন্তর ব্যাগ্র হইয়া পালার্দ্ধ জন্য বিশ্রামের বাঞ্চিত হইতে বাধ্য নহে, যদ্ধেতু বিশ্বজন নিঃস্বকারী দস্যুদলাধিকারী রিষড়া নিবাসী বিশ্বনাথ ডোম সদা সহচরগণ মদ্যাদি পানে নিয়তো মত্ত মনে দেশবিদেশ বিজয়ী ও বিখ্যাতরূপে নিঃশঙ্কে ছিল। যাহার নাম ও গভীর ধ্বনী শ্রবণে এবং ঘূর্ণিত বিশালাক্ষীর বিকট কটাক্ষ দর্শনে প্রজাগনের প্রাণ ধারণের প্রত্যাশা ছিল না, আপিচ যাহার গমনে ধরা অধরা কম্পিত-কলেবরা ও যাহার বাক্যালাপে মহাপ্রলয় সম প্রবল পবন মধ্যে মধ্যে বেগে পতিত হইয়া হা বিশ্বনাথ বাক্য প্রয়োগ করত বিশ্বব্যাপি পরমেশ্বরের কৃপায় অদ্য প্রাণ রক্ষা হইলো এইরূপ জ্ঞান না করিয়াছে এবং প্রতি দিবাবসানে পরমেশ্বর সদনে ইত্যাদি প্রার্থনা করিত যে বিশ্বনাথের কৃপায় আমরা কি কল্য প্রাতে আত্মীয়গণের মুখ সন্দর্শন করিতে পাইব এতদ্রূপ আক্ষেপোক্তিতে সর্বদা স্বজন সহিত সর্ব শর্বরী জাগরণে কাল যাপন করিত অধুনা কথিত দস্যু শ্রীযুতের পারাবারে পতিত হইয়া কারারুদ্ধ হওয়া তে প্রজাগণ অহরহ গমনে ভোজনে শয়নে স্বপনে শ্রীযুতের শুভাকাঙ্ক্ষী হইয়া নিশান্তে নিরাতঙ্কে নিদ্রাগতে প্রাতে শয্যা ত্যাজ্য করিয়া ঐ কথা ভিন্ন কাহারো মুখে শ্রবণ হয় না যে শ্রীযুত অনুগ্রহপূর্বক বিশ্বনাথ কে চিররুদ্ধ রাখিলে এতদ্দেশীয় প্রজাগণ সুখে কাল ক্ষেপন করিতে শক্ত হয়।
কিমধিক নিবেদনাধীন।
শ্রীকেদারনাথ হালদার।
শ্রীরামপুর।
১১ই জুলাই ১৮৫১ সাল।”
এত গেল এক ধনীর চিঠির কথা, তাঁরা যে বিশ্বনাথ ডাকাতের গ্রেপ্তার ও ফাঁসি তে খুশি হয়েছিল সেটা আগেই উল্লেখ করেছি। কিন্তু কোনও গরিব-দরিদ্র মানুষ, যাঁরা বিশ্বনাথের কাছ থেকে বিপদে পড়ে উপকৃত হয়েছিল, তাঁর মৃত্যুতে দুঃখী হয়ে পত্রিকায় পত্র দিয়েছিল কিনা, সেটা ইতিহাসের পাতায় লেখা নেই।
(তথ্যসূত্র:
১- বাংলার ডাকাত, যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান (২০১২)।
২- বাংলার ডাকাত, ধীরেন্দ্রলাল ধর, দে’জ পাবলিশিং (২০১৭)।
৩- বাংলার ডাকাত, খগেন্দ্রনাথ মিত্র।)
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত