ভারতীয় বোর্ডের নতুন প্রধান দায়িত্ব নেবেন ২৩ তারিখ। কিন্তু তার আগেই সৌরভের কাছে কড়া চ্যালেঞ্জ এল বোর্ডে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির তরফ থেকে। ভারতীয় বোর্ডের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও দুবাইয়ে আইসিসি-র বৈঠকে সংস্থার পরিচালন সমিতি বা বোর্ড ২০২৩ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে প্রতি বছর একটি করে আইসিসি টুনার্মেন্ট হওয়ার ব্যাপারে অনুমোদন দিয়ে দিল। মসনদে বসে সৌরভের প্রথম বড় চ্যালেঞ্জ আইসিসির বিরুদ্ধে অভিযান।
আপাতত বিশ্ব ক্রিকেটে ২০২৩ পর্যন্ত এফটিপি বা ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম ঠিক করা আছে। দুবাইয়ে সভা ছিল ২০২৩ থেকে ২০৩১ সালের ক্রীড়াসূচি ঠিক করার জন্য। আইসিসি চাইছে আট বছরের বৃত্তে দুটি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ, চারটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও এর বাইরে দুটি মিনি বিশ্বকাপ, যেটা হবে ৫০ ওভারের এবং ছ’টি টিম অংশ নেবে। দুবাইয়ের সভায় জিম্বাবোয়ে ও নেপালকে একদিনের ম্যাচের স্বীকৃতি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইসিসি-র সিইও মনু সাহনি বলেছেন, ‘আমরা আট বছরের আটটি গ্লোবাল ইভেন্ট চাইছি। পুরুষ ও মেয়েদের। সে জন্যই এই উদ্যোগ।’
ও দিকে, ভারতীয় বোর্ডের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীত হওয়ার পরেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, আইসিসি-র ৭০ শতাংশ লভ্যাংশ যেহেতু ভারত থেকে আসে, ভারতের প্রাপ্য আইসিসি-কে দিতে হবে। ভারতীয় বোর্ডের সিইও রাহুল জোহরি ই-মেল বার্তা মারফত আইসিসি সিইও মনু সাহনিকে জানিয়েছিলেন, প্রতি বছর আইসিসি টুনার্মেন্ট হলে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ-ও বলা হয়েছিল, ভারতীয় বোর্ডে নতুন পদাধিকারীরা দায়িত্ব নিলে এই নিয়ে আলোচনা হতে পারে। দুবাইয়ের সভায় উপস্থিত থাকা ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধি অমিতাভ চৌধুরিও একই আপত্তি জানান।
আইসিসি-র সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৩ থেকে পরের আট বছরে আটটি পুরুষ ও মেয়েদের ইভেন্ট হবে।’ আইসিসি চেয়ারম্যান এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করে বলেন, ‘আমরা বিচার করে দেখেছি, প্রতি বছর একটা করে গ্লোবাল ইভেন্ট করলে আমাদের ক্যালেন্ডারে ধারাবাহিকতা থাকবে। ক্রিকেট আরও ছড়িয়ে পড়বে।’
রাহুল জোহরি ও অমিতাভ চৌধুরির প্রতিবাদ সত্ত্বেও এ ভাবে দুবাইয়ের সভায় নতুন ভাবনা অনুমোদন করিয়ে নেওয়া একেবারেই মানবে না ভারতীয় বোর্ড। এই বিষয়ে শ্রীনিবাসন থেকে সৌরভ, অনুরাগ ঠাকুর থেকে ব্রিজেশ প্যাটেল, সবাই এক শিবিরে। এটা পরিষ্কার, খুব সহজে এই নতুন এফটিপি ভারত মানবে না।