লোকসভা ভোটে এ রাজ্য থেকে গুটিকয়েক আসন পেয়ে গেছেন ঠিকই, তবে কলকাতা-সহ বাংলার ৬ জেলায় বিজেপি যে এখনও দুর্বল, এবার সরাসরি তা স্বীকার করে নিলেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি নিজেই এ কথা জানান যে, তৃণমূলের গড় হিসেবে পরিচিত কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, হাওড়া-সহ কয়েকটি জেলাতে বিজেপির সংগঠন দুর্বল। তাই দক্ষিণবঙ্গের এই অংশে গেরুয়া হাওয়া তুলতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাতে হবে তাঁদের। মঙ্গলবার ভবানীপুরের মহারাষ্ট্র ভবনে দলের বিবিধ স্তরের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকেই এমনটা স্থির হয়েছে।
দিলীপের কথায়, কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদের মতো কয়েকটি জেলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান ভালো হয়নি। তারপর দলের সাংগঠনিক নির্বাচনে ওই জেলাগুলিতে বুথ কমিটি নির্বাচনেও আমরা পিছিয়ে রয়েছি। যেখানে অন্যান্য জেলায় ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ বুথ কমিটি গঠন হয়ে গিয়েছে, সেখানে ওই জেলাগুলি পিছিয়ে রয়েছে। রাজ্যে ৭৯ হাজার বুথের মধ্যে প্রায় ৬৪ হাজার বুথে বিজেপির কমিটি গঠন হয়ে গিয়েছে। তবে সেইসঙ্গে মেদিনীপুরের সাংসদ এ-ও জানিয়েছেন যে, সাংগঠনিক এই দুর্বলতা কাটাতে নভেম্বর মাস থেকে ফের নতুন করে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে। জাতীয় পর্যায়ের হেভিওয়েট নেতাদের বাংলায় উড়িয়ে আনা হবে। বিজেপির প্রভাব কম রয়েছে যেসব জেলায়, সেখানে পড়ে থেকে তাঁরা দলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কাজে ব্রতী হবেন।
উল্লেখ্য, ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠক) শিবপ্রকাশ, রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক-সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের দাবি, তাঁদের উপস্থিতিতেই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা সভাপতিকে মৃদু ভর্ৎসনা শুনতে হয় বলে। কারণ ওই সব জেলাগুলিতে লোকসভা এবং পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ফল আশানুরূপ হয়নি। যার জেরে বাংলা থেকে কাঙ্খিত সাংসদ সংখ্যা ছুঁতে পারেনি পদ্ম শিবির। ভোট চলাকালীন এবং ভোটের পর একাধিক জেলা সভাপতির কার্যকরিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তাই তাঁদের সতর্ক করতেই এবার কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সূত্রের।