হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী দাবি করেছিলেন, তিনি নিজে থেকে বিজেপি’র হয়ে ভোটপ্রচারে আসেননি। হরিয়ানা নিজে থেকেই তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ডেকে এনেছে। তা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। কিন্তু বুধবার সরাসরি বিরোধীদের ‘ডুবে মরতে’ বলে গোটা দেশে ফের ঝড় তুলে দিলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর মুখে এমন ভাষা কার্যত বেমানান বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? মহারাষ্ট্রের আকোলা এলাকায় পদযাত্রায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘লজ্জাজনক বিরোধিতা করা হচ্ছে মহারাষ্ট্র ৩৭০ ধারা বিলোপ করা নিয়ে। আমরা গর্বিত এখানের ছেলেমেয়েদের জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে আত্মত্যাগের জন্য। এখন রাজনৈতিক স্বার্থে কিছু মানুষ তাদের বাড়িতে গিয়ে বলছেন জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করে মহারাষ্ট্রের কী লাভ হয়েছে? ডুব মরো, ডুব মরো’। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ডুবে মরে যাও।
জম্মু–কাশ্মীরের ওপর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর বিরোধীরা জোর সমালোচনা করেছিলেন। এমনকী মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস–এনসিপি কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে জোর প্রচার করতেও নেমেছে। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন। এই বিরোধীদের উদ্দেশ্যেই এবার মোদীর নয়া বাক্যবাণ ‘ডুবে মরে যাও’। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ভাষা নির্বাচনে আরও সংযত হওয়া উচিৎ ছিল। ভাষার এমন প্রয়োগ দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার।