লাল পোলকা ডটের ফ্রক পরা মিষ্টি এক মেয়ে। মাথার নীল চুলে বো করে বাঁধা পোলকা ডট প্রিন্টেরই রিবন। মুখে সর্বদাই দুষ্টুমি মাখানো মুচকি হাসি। তবে রাজনীতি, খেলা থেকে শুরু করে দেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীকে হালকা মেজাজে সাধারণের কাছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তোলার ক্ষেত্রে এই মেয়ের জুড়ি মেলা ভার৷
সেই ১৯৬৬ সাল থেকে একটানা মানুষকে সঙ্গ দিয়ে এসেছে, রঙ্গ রসিকতায় মাতিয়ে রেখেছে যে ‘আমুল গার্ল’, এবার তাকে দেখা গেল এ বছর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এস্থার ডাফলোর ভূমিকায়। হ্যাঁ, এভাবেই এবার বঙ্গসন্তান অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলোকে অভিনন্দন জানাল আমুল ইন্ডিয়া। সোমবারই অর্থনীতিতে এ বছরের নোবেলজয়ী হিসেবে যাঁদের নাম ঘোষণা করেছে নোবেল কমিটি।
আমুলের ওই বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে এস্থার ডাফলোর বেশে আমুল গার্ল বসে রয়েছে। তাঁর পাশেই বসে অভিজিৎ। দুজনেই বাটার টোস্ট খাচ্ছে। ওপরে বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে লেখা ওয়ান লাইনার, ‘নোবেল অভি জিত গ্যায়া’। তলায় ব্র্যান্ডনেমের নীচে লেখা হয়েছে ক্যাচলাইন। সেখানেও কথার খেলা। ‘আটারলি বাটারলি ডিলিসিয়াশ’-এর জায়গায় এস্থার ডাফলোকে সম্মান জানিয়ে লেখা হয়েছে, ‘এস্থারলি বাটারলি ডিলিসিয়াশ’।
তবে এই প্রথম নয়, আধা শতাব্দীর বেশি ধরে এই ধারা বজায় রেখেছে আমুল। ১৯৯৬-এ দেবগৌড়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে আমুলের বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল, দৌড় প্রতিযোগিতায় তিন জনকে পিছনে ফেলে জিতছেন দেবগৌড়া। উপরে প্রশ্ন, ‘লম্বে রেস কা গৌড়া?’ তলায় ব্র্যান্ডনেমের নীচে ক্যাচলাইন হিসেবে লেখা হয়েছিল, ‘পাওয়ার দ্যাট লাস্টস।’
আবার, বন্যাবিধ্বস্ত কেরালার পাশে দাঁড়াতেও অভিনব প্রচার চালিয়েছিল আপনার আমার রোজকার ব্রেকফাস্টের পাউরুটির গায়ে প্রলেপ মাখানো সেই চেনা বাটার কোম্পানি। স্বাভাবিকভাবেই আমুলের এ হেন বিজ্ঞাপন নিয়ে বরাবরের মতোই উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী, বিশেষ করে বাংলার যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা টুইটারে শেয়ার করেছেন এই ছবিটি।