ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে শ্রদ্ধা জানাতে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্ট্যাচুটি তৈরি করেছে মোদী সরকার। অন্যদিকে গুজরাতে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বাসভবনটি পরিণত হয়েছে পার্কিং লটে। বিজেপির এ কেমন দ্বিচারিতা! একজন ব্যক্তিকে সম্মান জানানোর জন্য তার সর্ব বৃহৎ মুর্তি নির্মান, অন্যদিকে, যে বাড়িটিতে বল্লভভাই প্যাটেল দিন যাপন করতেন সেই বাড়িটি এখন পার্কিং লট।
১৯১৭ সাল থেকে আমদাবাদের এই বাড়িটিতে থাকতেন লৌহপুরুষ সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। স্বাধীনতার লড়াইয়ে সেই সময় ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যস্ত শহরের পার্কিং সমস্যা হার মানাল সেই ইতিহাসকেও। ফিরে তাকাল না মোদী সরকারও। সর্দার প্যাটেলের বাসভবন পার্কিং লট হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদরা।
স্বাধীন ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেলের জীবনের সঙ্গে ইতিহাস কী ভাবে জড়িয়ে, তা বেশিরভাগ মানুষই এখন জানে না বলে আক্ষেপ করেছেন ইতিহাসবিদরা। এই বাড়িতেই স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। ভাদ্রা কোর্টের আইনজীবী অমিত পারমার জানিয়েছেন, “আগে এই স্মারক ভবনে দরজা বন্ধ থাকলেও হালে এটি গাড়ি পার্ক করার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে”। এই নিয়ে সবমহলে প্রশ্ন উঠছে, মোদী সরকারের এই দু’রকম মনোভাবের কারণ কি? একদিকে বিশ্বের বৃহৎ মুর্তি তৈরি আর অন্য দিকে তার বাসভবন, তার ঐতিহাসিক গুরুত্বের দিকে নজর দিতে উদাসীন মোদী সরকার।