বনগাঁ, হালিশহর, গারুলিয়ার পর এবার নৈহাটি পুরসভাও পুনর্দখল করল তৃণমূল। বুধবার উত্তর ২৪ পরগণার নৈহাটি পুরসভার আস্থাভোট ২৪-০ ব্যবধানে জিতে নেয় জোড়াফুল শিবির। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই আস্থাভোটে বিজেপির ৭ কাউন্সিলর গরহাজির ছিলেন বলে জানিয়েছেন গেরুয়া নেতৃত্ব।
প্রশাসনের তরফ থেকে সবরকম চেষ্টা করা হয়েছিল। গাড়ি পর্যন্ত পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও বিজেপি কাউন্সিলরই এই আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে রাজি হননি।
বুধবার সকাল ১১টা থেকে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসকের কার্যালয়ে এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রায় ৪০ মিনিট পর ফল ঘোষণা করা হয়। পুরসভার মোট ৩১ টি আসনের মধ্যে ২৪-০ ব্যবধানে জয়লাভ করে তৃণমূল।
লোকসভা ভোটের মুখে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর নৈহাটি পুরসভায় পুর প্রশাসক বসায় সরকার। এই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রায় দেয় জেলা শাসকের কার্যালয়ে আস্থাভোট করতে হবে। এরপর, ৩০ সেপ্টেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসককে চিঠি পাঠান নৈহাটি পুরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়। ১৬ অক্টোবর আস্থাভোটের দিন স্থির করেন জেলাশাসক।
সেইমতো বেলা ১১ টা নাগাদ ভোটপ্রক্রিয়ার সময় ঠিক হয়। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই সব তৃণমূল কাউন্সিলররা পৌঁছে যান জেলাশাসকের দপ্তরে। কিন্তু কোনও বিজেপি কাউন্সিলরকেই দেখা যায়নি সেখানে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকেও ঘোষণা করা হয়, যাঁরা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় এখনও অংশ গ্রহণ করেননি, তাঁরা শীঘ্র অংশ গ্রহণ করুন। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন উপপুরপ্রধান জেলাশাসকের উপস্থিতিতে।
পুরপারিষদ সনৎ দে জানিয়েছেন, ‘আমরা এখন নৈহাটি পুরসভায় যাব। সেখানে সব কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ শুরু করে দেব।’ নৈহাটি পুরসভার পুরপ্রধান অশোক চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, ‘আমরা জানতাম আস্থাভোটে জয় পাব। বিজেপি কাউন্সিলরদের সন্ত্রাসের কারণে পুরসভার অনেক কাজ আটকে ছিল। এবার আমরা আবার কাজ শুরু করে দেব।’