ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমানে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয় দেশের প্রাক্তন খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্বার্থ সংঘাত। সেই বিষয়টি বেশ গুরুত্ব সহকারে বিচার করার কথা জানালেন বিসিআইয়ের নতুন সভাপতি। মসনদে বসার পরেই ভারতীয় বোর্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মনে করেন, এই স্বার্থ সংঘাতের কারণে অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারই প্রশাসনে আসতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, সৌরভ নিজেও এই স্বার্থ সংঘাতের কোপে পড়েছিলেন। এক দিকে সিএবি প্রেসিডেন্ট, অন্য দিকে আইপিএল দল দিল্লী ক্যাপিটালসের মেন্টর হওয়ার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ উঠেছিল। দিল্লী ক্যাপিটালসের মেন্টররের দায়িত্ব ইতিমধ্যেই ছেড়ে দিয়েছেন সৌরভ। এর পরে ২৩ তারিখ সরকারি ভাবে বোর্ড প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসার পরে সিএবি-র দায়িত্ব থেকেও সরে আসবেন সৌরভ।
মুম্বইয়ে নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পরে সাংবাদিকদের সৌরভ বলেন, ‘‘স্বার্থ সংঘাতের ব্যাপারটা নিয়ে ভাবার আছে। স্বার্থ সংঘাতের কারণে আমরা সেরা ক্রিকেটারদের বোর্ড প্রশাসনে পাব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। কারণ, ক্রিকেটারদের অন্য কিছু করার রাস্তাও খোলা থাকে।’’
‘স্বার্থ সংঘাত নীতি’ যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন সৌরভ। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের কথায়, ‘‘জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি হোক, সিএসি হোক বা ভারতীয় দলের ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোচ হোক— সবার নিয়োগ নিয়েই কিছু না কিছু সমস্যা হয়েছে।’’ সৌরভ আরও বলছেন, ‘‘স্বার্থ সংঘাতের একই সমস্যা দেখা দিয়েছে আইপিএল বা ধারাভাষ্যকারদের ক্ষেত্রেও। ফলে ব্যাপারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’’ নতুন পদে ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের স্থায়িত্বকাল মাত্র ৯-১০ মাস। আর এই সময়ের মধ্যেই তিনি প্রশাসক হিসেবে নিজের ছাপ রেখে যেতে চান বাংলার মহারাজার।