লোকসভা ভোটের আগের থেকেই বাংলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস স্থাপনের চেষ্টা করেছে বিজেপি। নির্বাচনের এত দিন বাদেও তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা।কোথাও ভাঙচুর করা হচ্ছে তৃণমূলের পার্টি অফিস, কোথাও মারধর করা হচ্ছে। কোথাও বা খুন করা হচ্ছে। এবার ফের ময়নাতে কুপিয়ে খুন করা হল তৃণমূল কর্মীকে। কাঠগড়ায় বিজেপি।
নিহত নেতার নাম বসুদেব মণ্ডল (৫২)। তিনি বাকচার বরুণা গ্রামের বাসিন্দা।সূত্রের খবর, বসুদেব সকাল আটটা নাগাদ বাজার করার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর আর বাড়ি ফিরে আসেননি। এরপর দুপুর ১টা নাগাদ স্থানীয়দের মারফত তাঁর পরিবারের কাছে খবর যায় রাস্তায় তাঁকে কুপিয়ে ফেলে গেছে দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় আন্দারিয়া গ্রামের রাস্তার ধার থেকে রক্তাক্ত এবং ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ময়না ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় ময়না থানার পুলিশ। সেখানে চিকিৎসকরা বসুদেবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত নেতার শরীর জুড়ে একাধিক গভীর ক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শরীরের ক্ষতে স্পষ্ট, তাঁকে কোনও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। সেই খবর ছড়াতেই তেতে ওঠে গোটা এলাকা। ময়না হাসপাতল চত্বরে ভিড় জমাতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা।
এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূলের অঞ্চল কোর কমিটির সদস্য বসুদেব দীর্ঘদিনের পুরনো তৃণমূল কর্মী। তাঁকে খুনের ঘটনায় কারা জড়িত, তা তদন্ত করে দেখার দাবি জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। বসুদেবের মৃত্যুর খবর পেয়েই ময়না চলে আসেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হয়ে এই খুনের জন্য বিজেপি–কে দায়ী করেন সাংসদ। তিনি বলেন, ‘বিজেপি–র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানুষকে এলাকায় সংগঠিত করছিলেন বসুদেব। যে কারণে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে কুপিয়ে খুন করেছে।’ নিহত বসুদেবের বাড়িতে যান সাংসদ। সমবেদনা জানান শোকার্ত পরিবারকে। তাঁর স্ত্রী খুকুমণি মণ্ডলের অভিযোগও বিজেপি–র বিরুদ্ধে।