বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীর নোবেল প্রাপ্তিতে খুশির রেশ ছড়িয়ে পড়েছে নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে শুরু হয়েছে বিস্তর চর্চা, আলোচনা। সেখান থেকেই উঠে এল অবাক করা তথ্য। জানা গেল, জেএনইউ-এর ছাত্র থাকাকালীন ১০ দিন তিহার জেলে কাটাতে হয়েছিল সদ্য নোবেলজয়ী অর্থনিতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
১৯৮৩ সালে জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদের সভাপতিকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তার প্রতিবাদে উপাচার্যকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘেরাও করেন ছাত্ররা। বিক্ষোভরত ছাত্রদের ওপর লাঠি চালায় পুলিশ। দেশদ্রোহের চার্জ না দিলেও খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয় পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে।
তাঁদের ৩০০-র বেশি পড়ুয়াকে ১০ দিন তিহার জেলে আটকে রাখা হয়। সেই পড়ুয়াদের মধ্যে ছিলেন অভিজত বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পরে অবশ্য সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ২০১৬ সালে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ কথা জানিয়েছিলেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। তাঁর কথায়, ‘১৯৮৩ সালে আমাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়নি ঠিকই। তবে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল’।
সাউথ পয়েন্টের পর প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশুনা করেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর দিল্লীর জেএনইউ। তাঁর সঙ্গে নোবেল পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলো এবং মাইকেল ক্রেমারও। ১৯৮৩ সালে জেলে যাওয়া অর্থনীতির ছাত্র ৩৬ বছর পর নোবেল জিতলেন। আসলে তাঁর একাগ্রতা, সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি অন্য কিছুই।