এবার সাভারকরকে ভারতরত্ন দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করল বিজেপি। মহারাষ্ট্র বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে এ কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই রাজ্যের অপর দুই সমাজ সংস্কারক জ্যোতিরাও ফুলে ও সাবিত্রী ফুলেকেও ভারতরত্ন দেওয়ার কথাও রয়েছে বিজেপির ইস্তেহারে।
সেপ্টেম্বরেই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বলেন, সাভারকর যদি প্রধানমন্ত্রী হতেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মই হত না। তিনি দাবি করেন, সাভারকরকে ভারতরত্ন দেওয়া উচিত। তাঁর কথায়, গান্ধী ও নেহরুর কৃতিত্বকে আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমাদের দেশে আরও অনেক সুসন্তান ছিলেন। সাভারকরকে অবিলম্বে ভারতরত্ন দেওয়া উচিত। তিনি ১৪ বছর জেলে কাটিয়েছিলেন। নেহরু যদি ১৪ মিনিট জেলে কাটাতে পারতেন, আমি তাঁকেও বীর বলতাম।
এর আগেও সাভারকরকে ‘যথাযোগ্য সম্মান’ দেওয়ার দাবি তুলেছে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। ২০১৮ সালে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা নামে এক সংগঠন দাবি করে, টাকার নোটে মহাত্মা গান্ধীর ছবি সরিয়ে সাভারকরের ছবি দেওয়া হোক। হিন্দু মহাসভার প্রধান স্বামী চক্রপাণি সাভারকরকে ভারতরত্ন দেওয়ার দাবি তোলেন। ২০১৬ সালে একটি ইংরেজি সাপ্তাহিকে বিজেপির এমপি তরুণ বিজয় লেখেন, সাভারকর ছিলেন বিদ্রোহী। তিনি দেশের মুক্তির জন্য নতুন পথ খুঁজেছিলেন। তিনি গোঁড়া ব্রাহ্মণদের মতো জাতপাতের সমর্থক ছিলেন না। বামপন্থীদের মতো দাস মনোবৃত্তিও তাঁর ছিল না। এবার মহারাষ্ট্রে নির্বাচন জিতলে সাভারকরকে ভারতরত্ন দেওয়া হবে বলে জানাল খোদ বিজেপিই।
