ফের বিতর্কে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। এ বার কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে সমালোচনার মুখে পড়লেন তিনি।
হরিয়ানায় একটি নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে গিয়ে সোনিয়াকে কার্যত ‘মরা ইঁদুর’ আখ্যা দেন খট্টর। এর পরই খট্টর-সহ বিজেপির বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হন কংগ্রেস নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, খট্টরের মন্তব্যে বিজেপির নারীবিরোধী মনোভাব ফুটে উঠেছে। ওই মন্তব্যের জন্য খট্টরকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও দাবি তুলেছে কংগ্রেস।
রবিবার হরিয়ানার সোনিপতে একটি নির্বাচনী জনসভায় ওই মন্তব্য করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘লোকসভায় পরাজয়ের পরে রাহুল গান্ধী দলের সভাপতির পদটি ত্যাগ করেছিলেন। গান্ধী পরিবারের আর কেউ কংগ্রেসের শীর্ষ পদে বসবেন না। আমরা তাঁর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। পরিবারতন্ত্র শেষ হওয়াই উচিত। তারপর কংগ্রেসীরা তিন মাস ধরে সারা দেশে খুঁজে বেড়ালেন কাকে নতুন সভাপতি করা হয়। পরে তাঁরা সোনিয়া গান্ধীকে ফের কংগ্রেস সভানেত্রী করলেন। একটা কথা আছে, খোঁড়া পাহাড়, নিকলি চুহিয়া, ওহ ভি মরি হুয়ি’। এর অর্থ, গোটা পাহাড় খুঁড়ে ফেলে বেরোল কিনা ইঁদুর, তাও আবার মরা।
কংগ্রেসের দাবি, ওই মন্তব্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে হিন্দিতে টুইট করে বলা হয়, বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তা নিম্নরুচির পরিচয় বহন করে। এতে বিজেপির নারীবিদ্বেষী চরিত্রও প্রকাশিত হয়। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে খট্টরকে ক্ষমা চাইতে হবে।
শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতাদের নিয়েই নয়, এর আগে মহিলাদের বিরুদ্ধেও আপত্তিকর মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন খট্টর। গত বছরের নভেম্বরে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ‘পুরনো প্রেমিককে ফিরে পেতেই ধর্ষণের অভিযোগ করেন মহিলারা’। চলতি বছরের অগস্টে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের পর তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘এখন কেউ কেউ বলছেন, কাশ্মীর খুলে গিয়েছে, সেখান থেকে বউ আনবেন।’ এ ধরনের মন্তব্যের পর বার বারই সমালোচিত হয়েছেন খট্টর। এ বার ফের আপত্তিকর মন্তব্য করে শিরোনামে বিজেপি শাসিত হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী।