আর ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চায় না কোয়েস। সেই প্রস্তাবই এবার লাল-হলুদ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে রাখলেন কোয়েস গ্রুপের সিইও সুব্রত নাগ। কোয়েস আর ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে ভবিষ্যত পথ নিয়ে দু’পক্ষের মিটিং হল শনিবার দুপুরে। কোয়েসের তরফে মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সুব্রত নাগ।ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে দেবব্রত সরকার ও সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়।
মিটিংয়ের শুরুতে সুব্রত নাগ ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের জানান, দু’পক্ষের ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’ হওয়াই ভাল। দেখতে হবে, কোনও সমস্যা তৈরি না করে দু’পক্ষের বিচ্ছেদ কীভাবে সম্ভব। ইস্টবেঙ্গল এবং কোয়েস দু’পক্ষই তা দেখবে।
সুব্রত নাগের প্রস্তাবের পর ধরে নেওয়া যায়, কোয়েস আর ইস্টবেঙ্গলের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া সময়ের অপেক্ষা। এখন দু’পক্ষই কাগজপত্র তৈরি করবে। ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার কোয়েস কর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “যখন কোয়েস ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিয়েছিল, সেই সময় ক্লাব সমস্যায় ছিল। কোয়েসে সাহায্য না করলে অসুবিধা হত।”
লাল-হলুদ কর্তাদের তরফে প্রস্তাব, কোয়েস যখন সরে যাচ্ছে, তখন মরশুমের আর্থিক বকেয়া ক্লাবকে মিটিয়ে দিক। এরপর আই লিগের দল নিয়ে আলোচনা। দেবব্রত বলেন, “শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গলের খেলায় সমর্থকরা খুশি নন। কোচ যত ভাল হোন, হাতে ভাল ফুটবলার না থাকলে সাফল্য আসে না। কোয়েসের উচিত, জানুয়ারিতে ৬ জন বিদেশির মধ্যে চারজনকে বদলে ফেলা। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ করেন বিদেশিরা। এবার যে মানের বিদেশি রিক্রুট হয়েছে, তা দিয়ে আই লিগ আসবে না।” ভারতীয় ফুটবলারদের কথাও বলেন। “বিদেশির পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবলারও ভাল রিক্রুট হয়নি।” ক্লাব কর্তারা জানিয়েছেন, কোয়েস বিদেশির দায়িত্ব নিক। ক্লাব ভারতীয় ফুটবলার দেখবে।