জিয়াগঞ্জে শিক্ষক পরিবারের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতি করছে বিজেপি। এমন মন্তব্য করে বিজেপির এক হাত নিলেন রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সকালে রামপুরহাট থানার সিউড়া গ্রামে জিয়াগঞ্জের নিহত শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালের শ্বশুরবাড়িতে যান কৃষিমন্ত্রী। সেখানেই বিজেপিকে তোপ দেগে এই মন্তব্য করেন তিনি।
দশমীর সকালে জিয়াগঞ্জের বাড়িতে বন্ধুপ্রকাশের সঙ্গেই খুন হয়েছেন তাঁর স্ত্রী বিউটি ও ৬ বছরের শিশুপুত্র অঙ্গন। বিউটির মা চন্দনাদেবী এদিন কৃষিমন্ত্রীর কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, “আমার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছিল। দশমীর সকালেই সে আমাকে ফোন করে বলেছিল, একাদশীর দিন স্বামী–পুত্র নিয়ে সে বাপের বাড়ি বিজয়া করতে আসবে। কিন্তু বাপের বাড়িতে আসা আর তার হল না”। এদিন বিউটির বাবা, দাদু ও ভাই কৃষিমন্ত্রীকে জানান, তারা নিশ্চিত, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বন্ধুপ্রকাশ কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তালে কিভাবে বিজেপি এই মৃত্যুকে ঘৃণ্য রাজনীতির অংশ বানায়!
এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিজেপি–র দাবি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজে বিষয়টি দেখছেন। পুলিশও তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত চালাচ্ছে। শিগগিরই সব ঘটনা বেরিয়ে আসবে”। এর পাশাপাশি কৃষিমন্ত্রী বলেন, “একটি পরিবার নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেল। নিহতদের স্বজনদের পাশে না দাঁড়িয়ে বিজেপি এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে অত্যন্ত ঘৃণ্য রাজনীতি করছে। নিজেদের রাজনীতির স্বার্থেই বিজেপি এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে মিথ্যা কথা বলছে। নিহতদের পরিবারের লোকজনও বিজেপি–র কথার বিরোধিতা করেছেন”।
বছর আটেক আগে এই গ্রামের সুখেন মণ্ডল ও চন্দনাদেবীর একমাত্র মেয়ে বিউটির সঙ্গে বিয়ে হয় বন্ধুপ্রকাশের। এই গ্রামের পাশেই নাইশোর গ্রামে আদি বাড়ি বন্ধুপ্রকাশের। এদিন সিউড়া গ্রামে তাঁর শ্বশুর, শাশুড়ি, দাদাশ্বশুর–সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে সমবেদনা জানান মন্ত্রী।