বাণিজ্যিক যাত্রার প্রথম দিন ট্রেন লেট করতেই পারে, অল্প দূরত্বের ক্ষেত্রেও তার ভাড়া বেশি হতেই পারে, কিন্তু তা নিয়ে কোনও রকম প্রশ্ন তোলা যাবে না। করা যাবে না রসিকতাও! কারণ যাঁরা এ সব করছেন, তাঁদের শাস্তি হওয়া উচিত বলেই মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ নিয়ে আগে পরোক্ষভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তা-ও বন্দে ভারতের যে কোনও উন্নতিসাধনই হয়নি, আবার মিলল তার প্রমাণ। এবার যাত্রীদের দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়ে পাক্কা একঘণ্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় মাঝপথে ঠায় দাঁড়িয়ে রইল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রবিবার বিকেল ৪.৫০ মিনিট নাগাদ প্রয়াগরাজ স্টেশনে ঢোকার ১০ মিনিট আগে হঠাৎ বারাণসী থেকে দিল্লিগামী ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে।
ট্রেনের ভিতর বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বন্ধ যায় এসি। এমনকী চালানো যায়নি পাখাও। যাত্রীরা জানিয়েছেন, ঘণ্টাখানেক আলোও ছিল না ট্রেনের ভিতর। জানা গেছে, বারাণসী থেকে দিল্লীগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে রবিবার আচমকাই এসি কাজ করা বন্ধ করে দেয়। উপায় না পেয়ে পাখা চালাতে যান যাত্রীরা। সেখানেও ছবিটা একই। হাজার চেষ্টার পরেও একচুল নড়েনি ফ্যানের ব্লেড। পাখা এবং এসি ছাড়া ট্রেনের কামরায় আলোও জ্বলেনি। চূড়ান্ত ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। কর্তৃপক্ষর সাফাই, অকজিলিয়ারি কনভারটার খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তার জেরেই সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেনের কামরার এসি, পাখা এবং আলো। ঘণ্টাখানেক পর সমাধান হয় সমস্যার।
উল্লেখ্য, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে গণ্ডগোল এই প্রথম নয়। চলতি বছরই মার্চ মাসে ট্রেনের একটি কোচে ট্রান্সফরমার থেকে আগুন ধরে যায়। তবে সেই ঘটনায় কেউ আহত হননি। কোনও বড়সড় ক্ষতি হওয়ার আগেই সামলানো গিয়েছিল পরিস্থিতি। এমনকী যাত্রা শুরুর দিনেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ধাক্কা লেগে আহত হয়েছিল একটি গরু। সে দিন ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট দেরিতে পৌঁছেছিল গন্তব্য স্টেশন বারাণসীতে। আবার উদ্বোধনের দিনেই বারাণসী থেকে দিল্লী ফেরার পথে রাজধানীর ২০০ কিলোমিটার আগেই বিকল হয়ে যায় ওই ট্রেনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। ট্রেনের কন্ট্রোল সিস্টেমে গন্ডগোলের কারণে সাংবাদিক এবং সরকারি আধিকারিক-সহ যাত্রীদের অন্য একটি ট্রেনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।