বিগত ৮ বছরে একাধিক ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে বাংলা। একদিকে কন্যাশ্রী, উৎকর্ষ বাংলা, সবুজসাথীর মতো প্রকল্পগুলি যেমন পেয়েছে আন্তর্জাতিক সাফল্য, তেমনি কেন্দ্রীয় রিপোর্টে ১০০ দিনের কাজে পরপর তিনবার বাংলার মুকুটে উঠেছে সেরার শিরোপা। পঞ্চায়েত-গ্রামোন্নয়ন এবং রেশন ব্যবস্থাতেও সারা দেশের কাছে এ রাজ্য হয়ে উঠেছে রোল মডেল। আবার দেখা গেছে, গোটা দেশে গড় বেকারত্বের হার যখন ৬.১ শতাংশ, তখন বাংলায় বেকারত্বের হার তার তুলনায় অনেকটাই কম। মাত্র ৪.৬ শতাংশ। এইসব কারণে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই এই দাবি করে থাকেন যে ‘এগিয়ে বাংলা’। আবারও মান্যতা পেল মমতার এই দাবি। সদ্য পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রযুক্তিবিদদের চাকরি পাওয়ার নিরিখে স্বস্তির চিত্র বাংলায়। দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলির নিয়ামক সংস্থা অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন বা এআইসিটিই-র সাম্প্রতিক তথ্য তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এ বছরের শুরুতে একটি বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায় এই ইঙ্গিত আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এ বার সেই তথ্যে শিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় ওই সংস্থা। শুধু তাই নয়। বিভিন্ন রাজ্যে যেখানে বছর বছর চাকরি পাওয়া ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যা কমছে, সে জায়গায় এই সংখ্যার হিসাবেও এগিয়ে বাংলা। গত তিন বছরের মধ্যে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সবচেয়ে বেশি পড়ুয়ার হাতে চাকরি তুলে দেওয়া গিয়েছে। পড়ুয়াদের চাকরি পাওয়ার নিরিখে গুজরাতকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে বাংলা। এ রাজ্যে গত শিক্ষাবর্ষে ২৭,৬৭৫ জন পড়ুয়ার হাতে চাকরি তুলে দেওয়া গিয়েছে। গড়ে ৫০-৫২ হাজার ছাত্রছাত্রী রাজ্যে প্রতি বছর ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আসে। গুজরাতে যেখানে ফি বছর ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ছাত্রছাত্রী ইঞ্জিনিয়ারিং ও অন্যান্য টেকনিক্যাল কোর্সে পড়াশোনা করেন, গত শিক্ষাবর্ষে সে জায়গায় ২৪,৬৩৬ জন চাকরি পেয়েছে। উড়িষ্যা দীর্ঘদিন এই নিরিখে এগিয়ে থাকলেও এ বছর পড়শি রাজ্যকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে বাংলা।