দূর্গাপুজো মিটতেই ফের দলীয় সংগঠনের কাজে মাঠে-ময়দানে নেমে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে একটি দলীয় বৈঠক ডেকেছেন তিনি। এই বৈঠকে জেলা সভাপতিদের পাশাপশি প্রতিটি ব্লক এবং টাউন সভাপতিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এই বৈঠক থেকে তৃণমূল নেত্রী দলীয় নেতাদের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিতে পারেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত।
প্রতি বছরই পুজোর পরে দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি এই বৈঠক থেকে কর্মীদের সামনে আগামী দিনের কর্মসূচিও তুলে ধরেন তিনি। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আগামী মঙ্গলবারের বৈঠক আরও বেশি করে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে দেশে তীব্র অর্থনৈতিক মন্দা, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ-সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে হাতিয়ার করে পুজোর আগে রাজ্যজুড়ে জোরদার প্রচারে নেমেছিল তৃণমূল। এমনকি এনআরসির বিরুদ্ধে পথে নামেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত চলে তৃণমূলের পদযাত্রা ৷ দূর্গাপুজোর মধ্যেও রাজ্যের শাসকদল এই সমস্ত ইস্যুতে প্রচার চালিয়ে গিয়েছে।
তবে নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশ পুজো নিয়ে ব্যস্ত থাকায় গত কিছু দিন ধরে রাজ্যের শাসকদলের পথে নেমে প্রচারে ভাটার টান পড়েছিল। মনে করা হচ্ছে, পুজো মিটতেই এই বৈঠকের মাধ্যমে সংগঠনকে ফের আন্দোলনমুখী করার কাজে হাত দিলেন তৃণমূল নেত্রী। যে কারণে আগামী ১৫ অক্টোবরের বৈঠকে জেলা সভাপতিদের পাশাপাশি ব্লক এবং টাউন সভাপতিদেরও থাকতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া ২০২০ সালের কলকাতার পুরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেইসঙ্গে রাজ্যের ১১০টা পুরসভার বকেয়া নির্বাচনও করাতে পারে রাজ্য সরকার। আগামী ১৫ অক্টোবরের বৈঠক থেকে আগামী পুর ভোট নিয়েও নেতাদের নিদিষ্ট কিছু নির্দেশ দিতে পারেন তৃণমূলনেত্রী। যে কারণে ওই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল। তাকিয়ে বিরোধী দলগুলিও।