দূর্গাপুজো কাটতেই ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে মৌসুমি বায়ু। আর তারই হাত ধরে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। আর বর্ষা শেষে প্রতিবারের মত এবারও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল আসামের কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের দ্বার। এক শৃঙ্গ গন্ডারের বাসভূমি তথা ইউনেস্কোর খাতায় হেরিটেজ সাইট কাজিরাঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের দ্বার শনিবার খুলেদেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়াল।
বন্য প্রাণীদের প্রজননকালীন সময় ধরা হয় ১৫ জুলাই থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তা ছাড়া বর্ষার কারণে জঙ্গলে গাছপালাও বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকে। এদিন কোহোরা ও বাগোরি এই দুটি রেঞ্জের দ্বার খুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। অভয়ারণ্যের দ্বার খুলে মুখ্যমন্ত্রী সোনোওয়াল বলেন, তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষণ, সৌন্দর্যায়ন এবং উন্নয়নের জন্য একাধিক প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়িত করেছে।
বর্তমানে দেশের ১৭টি পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে একটি আসামের কাজিরাঙ্গা স্থান করে নিয়েছে। অপরদিকে এদিন স্বচ্ছতার প্রশ্নে, মুখ্যমন্ত্রী সোনোওয়াল বলেন,অভয়ারণ্যের লাগোয়া হোটেল, রেস্তোরাঁ, লজ, ও রিসর্ট গুলিতে অভয়ারণ্যের আশের পাশের অঞ্চল পরিচ্ছন্ন রাখাতে হবে। তাঁর আশা শুরু হওয়া এই পর্যটন ঋতুতে প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ পর্যটক ভিড় জমাবেন কাজিরাঙ্গায়।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিন মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে সমস্ত জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এতদিন ডুয়ার্সের গোরুমারা, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান, চাপরামারি, বক্সা ও চিলাপাতা বনাঞ্চলে থাকা বাংলোগুলিতে পর্যটকদের থাকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সোমবার থেকে ফের ঢোকার সুযোগ পাবে তাঁরা।