অর্থনীতির বেহাল দশা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগই ধীরে ধীরে প্রমাণিত হচ্ছে। একের পর এক পরিসংখ্যান অর্থনীতির বর্তমান দুর্দশার ছবি স্পষ্ট করে দিচ্ছে। এই আর্থিক মন্দার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে শিল্পক্ষেত্রে। অন্তত তেমনটাই বলছে পরিসংখ্যান। এক মাসের মধ্যে দেশে শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন সূচকের অনেকটা অবনতি হয়েছে।
দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গত মাসে কেন্দ্র সরকার একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। তাতে কতটা সুফল মিলল, তা বোঝা যাবে নভেম্বরে। কিন্তু আপাতত, আগস্ট মাসের শিল্প উৎপাদন সূচক মোটেই খুশি করতে পারল না কারবারিদের। শিল্প উৎপাদন সূচকে দেখা যাচ্ছে, জুলাই মাসের তুলনায় আগস্টে বৃদ্ধির হার অনেকটা কমে গিয়েছে। জুলাই মাসে শিল্পোৎপাদনে বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৬ শতাংশ। তা কমে গিয়ে আগস্টে হয়েছে ১.১ শতাংশ। অর্থাৎ আগস্টে উৎপাদন জুলাইয়ের তুলনায় বাড়েনি, বরং কমে গিয়েছে। ২৩টি আলাদা আলাদা শিল্পক্ষেত্রের মধ্যে ১৫টিতেই ঋণাত্মক উৎপাদন হার। আটটি সংস্থার উৎপাদন হার পজিটিভের দিকে। এর আগে ২০১২ সালে উৎপাদন হার ছিল ১.৭ শতাংশ।
দু’দিন আগে, নবনিযুক্ত আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টোলিনা জর্জিভা বলেছিলেন, বিশ্বজনীন অর্থনৈতিক মন্দার পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। তবে ভারতে এর প্রভাব হতে পারে আরও বেশি।
এরপর রেটিং সংস্থা ‘মুডিজ’ও বৃহস্পতিবার জানায়, ২০১৯-’২০ আর্থিক বছরে ভারতে বৃদ্ধির হার একেবারেই আশাব্যঞ্জক নয়। তা দাঁড়াতে পারে মাত্র ৫.৮ শতাংশে। এর আগে মুডিজ জানিয়েছিল, চলতি আর্থিক বছরে ভারতে ৬.২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হতে পারে। অর্থাৎ তাদের আগের সমীক্ষার থেকেও বৃদ্ধির হার কমবে বলে মনে করছে তারা। এদিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মনে করে, চলতি আর্থিক বছরে বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে টেনেটুনে ৬.১ শতাংশ। কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক শুক্রবার জানিয়েছে, উৎপাদন ক্ষেত্রে ২৩টির মধ্যে ১৫ শিল্পেই খারাপ পরিস্থিতি চলছে। উৎপাদন কমে গিয়েছে।এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি গাড়ি শিল্পের। শেষ কোয়ার্টারে গাড়ি শিল্পে উৎপাদন কমেছে ২৪ শতাংশেরও বেশি।