ভারতের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা উপযুক্ত নয়। তাও সাধারণ মানুষের সঞ্চয় সুরক্ষিত রাখার মতো পরিকাঠামো ব্যাঙ্কগুলির নেই। পঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্ক (পিএমসি) কাণ্ডের প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করলেন এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান দীপক পারেখ। এইচডিএফসি কর্তার এই মন্তব্যের পরেই আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। নিজেদের খুদকুঁড়ো কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন, সেই চিন্তায় ঘুম ছুটেছে তাঁদের।
পঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেন দীপক পারেখ। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি, ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় এমন কোন ব্যবস্থাই নেই যাতে সাধারণ মানুষের সঞ্চিত তহবিলকে সুরক্ষিত রাখা যায়। তাঁর কথায়, ‘আমাদের ঋণ মকুবের ব্যবস্থা রয়েছে, কর্পোরেট লোন রাইট-অফ আছে কিন্তু কোনও আর্থিক ব্যবস্থা নেই যাতে সাধারণ মানুষের সঞ্চয় সুরক্ষিত থাকে’।
কোনও বিশেষ ঘটনার উল্লেখ না করে দীপক পারেখ বলেন, ‘আমি মনে করি, সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা নয়ছয় করার মতো বড়ো পাপ আর হয় না। বিশ্বাস ও নির্ভরযোগ্যতাই যে কোন আর্থিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি। কোনওভাবেই সেই বিশ্বাস ও নির্ভরতাকে ভাঙতে দেওয়া উচিত নয়’। পারেখের মতে, ‘যে কোনও অর্থনীতির জন্য হাউসহোল্ড সেভিংস বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ’।
পাশাপাশি, দেশের অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে পারেখ বলেন, বিশ্বব্যাপী মন্দার নিরিখে ভারত এখনও ভালো জায়গায় আছে। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে, বিশেষত দেশের আর্থিক বৃদ্ধিতে। তবে তা দীর্ঘমেয়াদি নয় বলেই মন্তব্য করেন এইচডিএফসির চেয়ারম্যান দীপক পারেখ।
উল্লেখ্য, পিএমসি ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর হাজার হাজার আমানতকারী বিপদের মুখে পড়েছেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে তাঁদের অর্থ জমা রয়েছে অথচ আরবিআইয়ের নির্দেশ অনুসারে অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ হাজার টাকার বেশি কেউ তুলতে পারছেন না। আবাসন শিল্প সংস্থা এইচডিআইএলের বিপুল আর্থিক কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরেই এহেন নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই। এই পরিস্থিতিতে এইচডিএফসি কর্তার এহেন উক্তিতে চিন্তা আরও বাড়ল আমানতকারীদের।