লোকসভা নির্বাচনের পরে হিড়িক উঠেছিল রাজনৈতিক দলবদলের। ভোটের ফল দেখে এবং গেরুয়া বাহিনীর হুমকির মুখে বহু নেতা-কর্মীই যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। কিন্তু কিছুদিন গড়াতেই সকলেই নিজেদের ভুল বুঝছেন। তাই ত্যাগ করছেন গেরুয়া সঙ্গ। গত লোকসভা নির্বাচনের পর যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়েছিল এবার পরপর সেগুলি পুনরুদ্ধার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তালিকাতেই এবার শামিল হল খোদ কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের খাসতালুক ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত। এর আগে ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতও বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতও পুনরুদ্ধার করল তারা।
শুক্রবার দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে আবার দলে ফিরে আসেন ভেটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই সদস্য। এই দলবদলের মাধ্যমেই এই গ্রাম পঞ্চায়েতটি নিজেদের দখলে নিল শাসক দল। উদয়ন বলেন, দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে অবস্থিত ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের যে সমস্ত সদস্যরা চলে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন আগেই আমাদের দলে ফিরেছিলেন। আরও দুই জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দলে ফিরে এসেছেন। ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতটি পুনরুদ্ধার করা হল। এর আগে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের অর্ন্তগত ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতটিও আমরা পুনরুদ্ধার করেছি।
প্রসঙ্গত, ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতটি নির্বাচনের সময়ে তৃণমূলই পেয়েছিল। মোট ১০টি আসনের মধ্যে ১০টি আসনই তৃণমূলের দখলে ছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর এই গ্রাম পঞ্চায়েতটিও দলবদলের মাধ্যমে বিজেপি নিজেদের দখলে নিয়ে আসে। যেহেতু এই গ্রাম পঞ্চায়েতেই কোচবিহারের সংসদ সদস্য বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি, তাই জেলার রাজনীতিতে ভেটাগুড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতটি আলাদা গুরুত্ব পায়। লোকসভা নির্বাচনের পরে পঞ্চায়েতটি বিজেপির দখলে চলে গেলেও বিগত কিছু দিন যাবৎ এই আসনটি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল তৃণমূল। এবার মিলল সাফল্য। অন্যদিকে, ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগ দিলেও সম্প্রতি তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই আবার তৃণমূলে ফিরে আসায় এই গ্রাম পঞ্চায়েতটিও তাদের দখলেই।